এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রেলের জায়গা রেলকেই ঘিরতে দেবে না! তীব্র উত্তেজনা বাড়িয়ে নয়া বিতর্কে শাসক দল তৃণমূলের সংগঠন!

রেলের জায়গা রেলকেই ঘিরতে দেবে না! তীব্র উত্তেজনা বাড়িয়ে নয়া বিতর্কে শাসক দল তৃণমূলের সংগঠন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার রেলের এলাকা ঘিরতে গিয়ে তৃণমূলের নেতাদের বাধার মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানে। শাসকদলের নেতাদের এই দাদাগিরি এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। বস্তুত, সোমবার বর্ধমান রেল স্টেশনের তিনকোনিয়ার দিকে গুড শেড রোডের ধারে তরকারি বাজারের সামনে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান স্টেশনের আধিকারিক এবং ভারতীয় রেল সুরক্ষা বাহিনী বর্ধমান শাখার উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

কিন্তু এই সীমানা হচ্ছে এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ইফতিকার আহমেদ। অভিযোগ, কেন এইভাবে এলাকা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সেই নেতা। তার দাবি, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাই এভাবে পথ বন্ধ করে দিলে মানুষ অসুবিধার মুখে পড়বেন। তবে তৃণমূল নেতার এই আজব দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমত হতবাক হয়ে যান রেল আধিকারিকরা।

তাদের বক্তব্য, রেল নিজের জায়গা নিজে ঘিরতে চাইছে। সেই জায়গায় অবৈধভাবে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! যেখানে রেলের পক্ষ থেকে নিজেদের সীমানা ঘেরা হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরি কেন? তাহলে কি এবার সরকারি সম্পত্তি কিভাবে পরিচালিত হবে, তাও তৃণমূল নেতাদের অনুমতি নিয়ে পরিচালনা করতে হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনীর বর্ধমান রেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার অসীম মন্ডল বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই স্থান দিয়ে যাতে ছোট গাড়ি প্রবেশ করতে পারে, সেই রকম ব্যবস্থা রাখা হবে। আর বাকি জায়গা রেলিং দিয়ে ঘিরে নেবে রেল।” কিন্তু রেলের জায়গা রেল নিজেদের প্রয়োজনের জন্য ঘিরলেও কেন সেখানে বাধা দিলেন তৃণমূল নেতা?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, “অনেক সময় দূরপাল্লার ট্রেন থেকে যাত্রীরা বড় লাগেজ নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে নামে। তারপর শহরের বাইরে বাসিন্দারা টোটো, রিক্সা করে বাসট্যান্ড যান বাস ধরতে। এখন এইভাবে রেলিং দিয়ে ঘিরে ফেললে টোটো, রিক্সা কিছুই ঢুকতে পারবে না স্টেশন চত্বরে। ফলে যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন।”

একাংশের মতে, রেলের পক্ষ থেকে যখন সীমানা ঘোড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তখন রেলের মাথায় নিশ্চয়ই যাত্রী সুরক্ষার কথাটি মাথায় থাকবে। যদি এই ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিত, তাহলে না হয় প্রতিবাদ করলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু যেভাবে নিজেদের সীমানা ঘেরার সময়ে তৃণমূল নেতা সেখানে আপত্তি জানালেন, তাতে শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!