এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন মিটলেও রেল চলাচলে নেওয়া হতে পারে কঠিন সিদ্ধান্ত! জানুন বিস্তারিত

লকডাউন মিটলেও রেল চলাচলে নেওয়া হতে পারে কঠিন সিদ্ধান্ত! জানুন বিস্তারিত


আগামী 14 এপ্রিল পর্যন্ত ভারতবর্ষে লকডাউন রয়েছে। সকলেই মনে করছেন যে, লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। কেননা করোনা ভাইরাস ভারতবর্ষে এখন চূড়ান্ত আকার ধারণ করছে। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এমত পরিস্থিতিতে 14 এপ্রিলের পর লকডাউন বাড়বে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনো সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু যদি লকডাউন উঠে যায়, তাহলে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ!

সূত্রের খবর, ভারতবর্ষের কোন জায়গায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কেমন রয়েছে, তা দেখে নিয়েই ভারতীয় রেলকে তিনটি জোনে ভাগ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে – রেড, ইয়োলো এবং গ্রীন জোন। মূলত যে সমস্ত এলাকায় করোনা ভাইরাস চরম আকার ধারণ করেছে, সেখানে রেড জোন বলেই ধরে নিতে হবে। আর সেই রুটে কোনো ট্রেন পরিষেবা চালানো হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ইয়োলো জোনে বেশ কিছু বাছাই ট্রেন চালু করা হবে এবং গ্রীন জোনে যতটা পারা যায়, ততগুলো ট্রেন চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। জানা গেছে, সম্প্রতি রেলওয়ে বোর্ডের একটি রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর সেখানেই সমস্ত ডিভিশনাল ম্যানেজারদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, ট্রেন পরিষেবা কিভাবে স্বাভাবিক করা যাবে। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে যে, লকডাউন উঠে গেলেও ট্রেন সময় মত চলতে পারবে না।

এছাড়াও যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক সংক্রমণ যাতে না হয়, তার জন্য যে সমস্ত ট্রেন চলবে তাদের মিডিল বার্থ রাখা হবে না বলে জানা গেছে। অর্থাৎ যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব রাখতেই রেলের এই সিদ্ধান্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রেলের সংরক্ষিত আসনসংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, 60 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের কোনভাবেই ট্রেনে সফর করানো যাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবীণ মানুষদের করোনা আক্রান্ত করার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। তাই রেল বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। এছাড়াও, যে কোন রেলস্টেশনে ঢোকার আগে বিশেষ স্ক্রিনিং করার কথাও ভাবা হচ্ছে – যাতে করে সংক্রমিত কেউ বা সংক্রমণের লক্ষ্মণ যুক্ত কেউ যাতে রেলে ভ্রমণ করতে না পারেন। এমনকি, ভ্রমণের সময় যদি কেউ করোনার লক্ষ্মণ নিয়ে ধরা পড়েন – তবে তাঁর যাত্রা রদের মত কঠিন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। ফলে, বলাই যায় লকডাউন উঠে রেল পরিষেবা শুরু হলেও। তা স্বাভাবিক হতে এখনও অনেকটাই সময় লাগবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!