এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজস্থানের হাওয়া ক্রমশ খারাপ! সামাল দিতে বিশেষ ‘টোটকা’ মোদী-শাহর

রাজস্থানের হাওয়া ক্রমশ খারাপ! সামাল দিতে বিশেষ ‘টোটকা’ মোদী-শাহর


লোকসভা ভোটের আগে যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে তার মধ্যে রাজস্থান অন্যতম। রাজস্থান বিজেপি শক্তিঘাঁটি,একথা অজানা নয় কারো। আর রাজস্থানের বিধানসভা ভোটের রীতিই হল প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষমতা বদল। কাজেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনটি বিজেপি কংগ্রেস উভয়ের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই রাজ্যের ফলাফল বড় প্রভাব ফেলবে সংসদের নির্বাচনে। তার মধ্যে বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রবল হতে শুরু করেছে রাজস্থানে। রাজপুত মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার উপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রাজস্থানের আমজনতার। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি নারাজ বিজেপির চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্ক রাজপুতদের সিংহভাগ। এই ক্ষোভকেই উসকে দিচ্ছে সচীন পাইলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করে রাজস্থানের লাগাম ধরতে মরিয়া কংগ্রেস। বিজেপি ব্যাকফুটে থাকলেও পায়ের তলার এক ফোটা জমি কেড়ে নিতে দেবে না কংগ্রেসকে। কাজেই এতে কোনো সন্দেহ নেই,২০১৮ এর রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।

অন্যদিকে,রাজস্থানে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার দিক পরিবর্তন করতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা নয়া রণকৌশলের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বসুন্ধরা রাজের সরকারকে। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে আনা হচ্ছে নয়া মুখ। বিধায়কের জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে জাতপাতের সমীকরণকে মান্যতা দিয়ে দলীয় অন্দরে বদল আনা হচ্ছে। লোকসভা ভোটকে ফাইনাল ম্যাচ হিসাবে বিচার করে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে সেমিফাইনাল হিসাবেই দেখা হচ্ছে। সেমিফাইনালে যে দল এগিয়ে থাকবে স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালেও সে দলের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে,এমনটাই মনে করে বারবার রণনীতি পরিবর্তন করছে বিজেপি।

তবে মোদী-শাহের এই উদ্যোগ কতোটা সফল হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থেকে যাচ্ছে। বছড় দেড়েক ধরে বসুন্ধরা রাজের নানান কাজকর্মে ব্যাপক অসন্তুষ্ট রাজপুত নেতাদের একাংশ। রাজপুত সম্প্রদায়ের ক্ষোভের অন্যতম কারণ রাজমহল বিবাদ এবং ‘পদ্মাবত’ সিনেমার মুক্তি। রাজমহলের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল জয়পুর উন্নয়ন পরিষদ (জেডিএ)। এই জেডিএ- বিরোধীতায় পথে নামেন ‘রাজমাতা’ পদ্মিনী। রানী পদ্মিনীর মেয়ে দিয়া কুমারী সওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। জয়পুর অঞ্চলে এবং গোটা রাজ্যে রাজপুত সম্প্রদায়ের ভালো প্রভাব থাকলেও ‘পদ্মাবত’ সিনেমা নিষিদ্ধ না হওয়ায় বিজেপির উপর চটে রয়েছেন বেশিরভাগ রাজপুতই। এর বেশ ভারী মাশুল চোকাতে হবে বিজেপিকে বিধানসভা নির্বাচনে,এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

তাছাড়া সম্প্রতি প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিংহ- এর পুত্র মানবেন্দ্র সিংহ দল ছেড়ে কংগ্রেসে যুক্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গে আবার মন্তব্যে জানিয়েছেন, ‘পদ্ম ফুল আমার ভুল।’ মানবেন্দ্রের মতো একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের পাল্লা ভারী হয়েছে। তাছাড়া আশা করা হচ্ছে, এবার রাজপুরোহিত চারণ এবং প্রজাপত গোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়া সোজা হল কংগ্রেসের কাছে মানবেন্দ্র সিংহ – এর কারণে। সবমিলিয়ে, বোঝাই যাচ্ছে ২০১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কড়া টেক্কা দিতে চলেছে কংগ্রেস। রাজস্থানের প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজে লাগিয়েই কংগ্রেস দেখাতে চলেছে ‘হাত’ এর ম্যাজিক। এখন এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামালতে মোদী-শাহর টোটকা ফলপ্রসূ হয় কিনা সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!