এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > রাজভবনে দীর্ঘ বৈঠকে জগদীপ ধনকর ও মমতা ব্যানার্জ্জী, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

রাজভবনে দীর্ঘ বৈঠকে জগদীপ ধনকর ও মমতা ব্যানার্জ্জী, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এরাজ্যে বরাবরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক বলেই জানা যায়। কিছুদিন আগেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করে গিয়েছেন। কার্যত রাজ্যের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল বিরোধীদের পাশাপাশি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়। কার্যত রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলেও অভিহিত করা হয়। কার্যত এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীকে আজ রাজভবনে দেখা গেল।

খুব স্বাভাবিকভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে হঠাৎ দেখা কার্যত রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনার উদ্রেক করেছে। সূত্রের খবর, এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বের হয়ে সোজা রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং তাঁর স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে সাদরে আহবান করেন। পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। দুজনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে কাটান। আর এই নিয়ে বিভিন্ন রকম হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অলিন্দে। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কি নিয়ে আলোচনা হতে পারে? সেই প্রশ্ন উঠে আসছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব সম্ভবত যেটা উঠে আসছে আলোচনার ভিত্তিতে তা হল বিধান পরিষদ তৈরি নিয়ে আলোচনা। কার্যত সম্প্রতি রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রীসভা। ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই বিধানসভার ভোটাভুটিতে বিধান পরিষদ প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। 265 জন বিধায়কের মধ্যে 196 জন ভোট দেয় বিধান পরিষদ গঠনের পক্ষে, এবং 69 জন ভোট দেন এর বিপক্ষে। বিজেপি বিধায়করা বিপক্ষেই দেবেন জানা কথা। কিন্তু আইএসএল এর নওসাদ সিদ্দিকীও এর বিরোধিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও রাজ্যপালের সঙ্গে পিএসির চেয়ারম্যান হিসাবে মুকুল রায়ের নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কার্যত এই বিষয় নিয়ে একাধিক নালিশ জানাতে গতকাল বিজেপি বিধায়করা লগিয়েছিলেন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের দেখা করার বিষয়টি এই মুহূর্তে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কি বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সাথে কথা হয়েছে তা শুধুমাত্র অনুমান করা হচ্ছে। এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। আপাতত নজর এখন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর এই আলোচনায় নতুন কোন রাজনৈতিক মোড় সামনে আসে কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!