এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমার ভেতরে চাপা আক্ষেপ, বেদনা, দুঃখ রয়েছে! দলের সঙ্গে দূরত্বের ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক রাজীব!

আমার ভেতরে চাপা আক্ষেপ, বেদনা, দুঃখ রয়েছে! দলের সঙ্গে দূরত্বের ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক রাজীব!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমরা আগেই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য – বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের মধ্যে প্রকাশ্যেই নাম না করে বাকযুদ্ধ নিয়ে তীব্র চর্চা চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। সম্প্রতি, আমপান কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের নামে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের পকেট ভর্তি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চাপে পরে প্রথমে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন তৃণমূল নেতারা।

কিন্তু, কার্যত দেখা যায় – কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরোচ্ছে! ফলে, তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয় শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া। দলের মধ্যেই পদ হারিয়ে শাস্তির কোপে পড়েন অনেক স্থানীয় নেতা। তেমনই হাওড়া জেলায় ৩ নেতাকে শাস্তির নিদান দেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায়। আর তারপরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাঘব-বোয়ালদের বাদ দিয়ে কেন চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল? আমি কেন কিছু জানতে পারলাম না? কয়েকজনের জন্য দলকে কালিমা লিপ্ত হতে দেওয়া যায় না।

আর এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায় বিস্ফোরকভাবে পাল্টা দেন। তিনি বলেন, বিজেপির ভাষায় যদি আমার দলের কোনও লোক কথা বলে তাহলে তা ঠিক কি বোঝায় তা বুঝে নিতে হবে। এ কথা কখনওই দলের সাচ্চা একজন কর্মীর মুখে মানায় না। যারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে রিগিং করে হারিয়ে দেন তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। আর অরূপবাবুর এহেন মন্তব্যের পরে রাজীববাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা চরমে ওঠে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন ফের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন রাজীববাবু। তিনি এদিন বলেন, যারা যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করতে চান, যারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে চান – অনেককে হয়ত সেই সুযোগটা করে দেওয়া হয় না। বা তাদেরকে সেই যোগ্যতা-দক্ষতা অনুযায়ী যে মাপকাঠিতে বিচার করা উচিত, তাদের সঙ্গে সেটা বিচার্য হয় না। আমি অস্বীকার করব না – কিছুটা হলেও আমার ভেতরে চাপা আক্ষেপ, বেদনা, দুঃখ রয়েছে। কেননা আমি তো মানুষের ভালোর জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয় নি।

তবে এই নিয়ে দলকে বা নেত্রীকে তিনি কিছু জানাননি বলে জানিয়েছেন। দুর্নীতি প্রসঙ্গেও তিনি এদিন আবারো সরব হন। রাজীববাবুর বক্তব্য, দুর্নীতিকে সার্বিকভাবে দূর করতে হবে। দলের বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ভাবমূর্তি – তা রক্ষা করতে গেলে দুর্নীতিকে দূর করতেই হবে। আর তা করতে গেলে কয়েকজন চুনোপুঁটিকে দেখিয়ে করতে গেলে হবে না। প্রচুর রাঘববোয়াল, রুই-কাতলা, ইলিশ আছে – তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে দুর্নীতি তাঁর যে অবস্থান, তা তিনি দলকে জানিয়েছেন কিনা তা তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে আগ্রহী নন।

তবে একই সঙ্গে জানান, যেখানে জানানোর জানিয়েছি, আগামীদিনেও বলব। সব মিলিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের একদম প্রথমের সারিতে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে প্রকাশ্যেই দলের দুর্নীতি এবং নিজের কাজ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছেন – তাতে তাঁকে নিয়ে জল্পনা চরমে উঠেছে। বিশেষ করে অরূপবাবু যেভাবে নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিজেপির ভাষায়’ কথা বলার অভিযোগ এনেছেন – তা সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজীববাবুর এহেন বক্তব্য কি দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে – সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!