এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার ফিরহাদের সামনেই দুর্নীতি নিয়ে সরব রাজীব! ‘সামাল দিতে’ কি করলেন মমতার অনুগত সৈনিক?

এবার ফিরহাদের সামনেই দুর্নীতি নিয়ে সরব রাজীব! ‘সামাল দিতে’ কি করলেন মমতার অনুগত সৈনিক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য-রাজনীতিতে নিজের দলের ‘রাঘববোয়ালদের’ বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা অন্যতম জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আমপান কাণ্ডের বিপর্যয়ের পরে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রাণের টাকা নয়ছয় করার একের পর এক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। যা কার্যত শাসকদলের ভাবমূর্তিকে বেশ বড় রকমের কালিমালিপ্ত করেছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

এই অবস্থায় ক্ষিপ্ত তৃণমূল নেত্রী, একদিকে যেমন তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন, অন্যদিকে তেমনই দলীয়স্তরে তদন্ত করে শাস্তির বিধান দিয়েছেন। সেইমত হাওড়াতেও ৩ তৃণমূল নেতা শাস্তির কোপে পরে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সব জায়গাতেই কার্যত এই নিয়ে সরব হন। তাঁর বক্তব্য, এইভাবে দলের কয়েকজন ‘চুনোপুঁটিকে’ শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি দূর করা যাবে না, দলে অনেক ‘রাঘববোয়াল, রুই-কাতলা, ইলিশ’ আছে – তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

যে সব অভিযোগ এতদিন বিরোধীদের মুখে শোনা যেত, তা একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মুখে প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিকমহলে। আর এই আবহেই আজ বনমহোৎসবের রাজ্যস্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় হাওড়ার বালি দুর্গাপুর, নিশ্চিন্দার সিসিআর ঝিল সংলগ্ন উদ্যানে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীববাবু বলেন,আমার মনে হয় এসব কথার জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যেটা বলার আমি খুব স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি। সেখান থেকে আমি কোথাও নড়িনি। দলকে বলে দিয়েছি এই যে জিনিস হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে হবে। দল নিশ্চিতভাবেই ব্যবস্থা নেবে। আমি আমার মতো করে আমার বক্তব্য বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি এখনও বলব দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই আমার নেত্রী করছেন, আমিও তাঁর একজন সহকর্মী হিসাবে এ লড়াই শুরু করেছি। কার কোথায় কি গুরুত্ব আছে সেটা বাংলার মানুষ জানেন। সেটা আমাকে বলতে হবে না। বাংলার মানুষ জানেন কে কি রকম। স্বাভাবিকভাবেই, এরপর এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় রাজীব ব্যানার্জিকে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরী হয়েছে, তার কি অবসান হয়েছে?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম অনুগত সৈনিক হিসাবে পরিচিত রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর জবাবে জানান, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনওদিন কোনও বিতর্ক ছিলও না। আর অবসান ঘটারও কিছু নেই। এটা আমাদের দলীয় ব্যাপার। দলীয় স্তরেই আমরা দলীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। সংবাদমাধ্যমের সামনে আমরা আলোচনা করি না। আর ফিরহাদ সাহেবের এহেন বক্তব্য নিয়েই শুরু হয় তীব্র জল্পনা। যেখানে রাজীববাবু দলীয় দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব, সেখানে দলীয় ব্যাপার বলে তিনি কি এড়িয়ে যেতে চাইছেন? উঠছে সেই প্রশ্ন।

কেননা কিছুদিন আগেই, আমপান কাণ্ডের পর দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। যা নিয়ে পাল্টা সরব হন বিধায়ক পরেশ পাল। কেন এইভাবে দলীয় অভিযোগ প্রকাশ্যে বললেন – জানতে চেয়ে সাধনবাবুকে শোকজ করেন দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয় নি। কিন্তু, এইবার সাধনবাবুর মতোই প্রকাশ্যে রাজীববাবু দলীয় দুর্নীতি ও রাঘববোয়াল প্রশ্নে সরব হলেও, শোকজ বা শাস্তি তো দূরের কথা – উল্টে ‘দলীয় ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে যেতে চাইছেন ফিরহাদ হাকিমের মত দাপুটে মন্ত্রীও। ফলে সব মিলিয়ে রাজীব ব্যানার্জি ও তাঁর তোপ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!