এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীব-বৈশালীদের বিজেপিতে যোগদানের পরেই হাতে মহাস্ত্র পেয়ে গেল তৃণমূল? ক্রমশ কোনঠাসা গেরুয়া?

রাজীব-বৈশালীদের বিজেপিতে যোগদানের পরেই হাতে মহাস্ত্র পেয়ে গেল তৃণমূল? ক্রমশ কোনঠাসা গেরুয়া?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার কারণে সেই সফর বাতিল করেছেন তিনি। আর তারপরই সেই সফরে বেশকিছু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদানের কথা থাকলে সরাসরি দিল্লিতে তাদের ডেকে পাঠান অমিত শাহ। এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষালের মত নেতারা যাতে বিজেপিতে যোগদান করতে বিন্দুমাত্র দেরি না করেন, তার জন্য তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চার্টার্ড বিমান।

আর এবার বিজেপির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলতে রীতিমতো তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, দলবদলুদের জন্য চার্টার্ড বিমান থাকলেও, কিছুদিন আগেই করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় জেলায় ফিরিয়ে আনতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

স্বাভাবিক ভাবেই করোনা পরিস্থিতির সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা তুলে ধরে এবার বিজেপিকে যেভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তা যে গেরুয়া শিবিরের কাছে কিছুটা হলেও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র দরদ নেই।

কিন্তু দলবদলুদের গুরুত্ব দিতে কেন্দ্র চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে বলে আক্রমণ করছে ঘাসফুল শিবির। আর এই ঘটনা নিয়ে কার্যত উত্তপ্ত নদীয়া জেলা রাজনীতি। আগামী দিনে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে যে এখানে শাসক-বিরোধী তরজা ক্রমশ জমে উঠবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মন পাওয়ার চেষ্টা করছে। যেখানে তারা তুলে ধরেছে যে, দলবদলুদের গুরুত্ব দেওয়া হলেও, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কিভাবে তৃণমূলের এই ইস্যুকে মোকাবিলা করে, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা পরিষদের মেন্টর তৃণমূলের বাণীকুমার রায় বলেন, “করোনা মহামারীর সময় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে উদাসীন ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অন্য রাজ্যে থাকা শ্রমিকদের ফেরানো হয়েছে। অথচ বিজেপিতে যোগ দিতে দলবদলু নেতাদের চাটার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মানুষ দেখছে, কারা তাদের পাশে রয়েছে। ওই সকল শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। ভোটে তারা এর উত্তর দেবেন।”

তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমরা আমাদের অতিথিদের কিভাবে আপ্যায়ন করব, তা আমাদের দলের বিষয়। দলের খরচেই ওই চাটার্ড বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র ট্রেনের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তাতে আপত্তি ছিল। সুতরাং তৃণমূল যে অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, একের পর এক নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে এখন ঘাসফুল শিবির অনেকটাই চাপে রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করলেও, তাদের দলে ভাঙন আটকানো যে তাদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তা বলাই যায়। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে চার্টার্ড বিমানে দলবদলুদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে করোনা পরিস্থিতিতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মন পাওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

যেখানে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু হিসাবে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়ল ঘাসফুল শিবির। তবে তৃণমূলের এই প্রচারে বিজেপির বিরম্বনা কতটা বৃদ্ধি পায় এবং ভোটবাক্সে এর কি প্রভাব পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!