এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীবকে কি ফিরিয়ে নেবেন মমতা? হেভিওয়েট মন্ত্রীর মুখে প্রশংসা ঘিরে জল্পনা!

রাজীবকে কি ফিরিয়ে নেবেন মমতা? হেভিওয়েট মন্ত্রীর মুখে প্রশংসা ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু নাটকীয় পরিস্থিতি সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর পথেই পা বাড়িয়ে প্রথমে মন্ত্রী পদ, তারপর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে নিয়ে বিধানসভা ত্যাগ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি যে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি, বিজেপিতে যোগদান করার পর সেই ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাকে গেরুয়া শিবিরের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপিও তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলে বহু চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত 77 টি আসন পেয়ে কোনোরকমে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে গেরুয়া শিবির।

আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে যারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার এখন বেসুরো হতে শুরু করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে যখন 356 ধারা প্রয়োগের থেকেও রাজ্যের অবস্থা খারাপ বলে দিল্লি থেকে দাবি করছেন, তখন কথায় কথায় নির্বাচিত সরকারকে এভাবে ভয় দেখানো ঠিক নয় বলে ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে কার্যত তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে বিজেপির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজীববাবু যে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরার চেষ্টা করছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে ফেরানো না হয়, তার জন্য দলের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেদন করতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে “ছোট ভাই” বলে সম্বোধন করে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিক ভাবেই ফিরহাদ হাকিমের গলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য নতুন করে গুঞ্জন তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত করে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। আর তারপরেই সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, একসময় রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিক ভাবেই দুই নেতা বিজেপিতে যাওয়ার কারণে প্রাক্তন মন্ত্রী থাকায় এই দুই নেতাকে চাপে ফেলার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুকৌশলে এই মন্তব্য করেছেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যখন বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বাঁচবার জন্য তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে আসছেন বলে দাবি করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।

এদিন তিনি বলেন, “আমি দলে কাউকে স্বাগত জানানোর কেউ নই। দল দলের সিদ্ধান্ত নেবে। এখন ওর কোনো আবেদনপত্র দলের কাছে আসেনি। যাদের আবেদন এসেছে, তাদের বিষয়টি দল ঠিক করবে। কিন্তু দেরিতে বোধোদয় হলেও ভালো। অনেকে তো এমন রয়েছেন যাদের বোধের উদয়ই হয় না। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের ভয়ে ফিরতে চাইছেন, এমন যুক্তি ঠিক নয়। রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মত। কেন এমনটা হল, কেন বিজেপিতে গেল, এটা আমার কাছেও বিস্ময়ের। শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিনেও আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু দেরিতে হলেও যদি বোধোদয় হয়, তাহলে সেটা ভালো লক্ষণ।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই ফিরহাদ হাকিম যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহের হয়ে উঠেছিলেন। অনেক জেলার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী করে তাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও যোগ্য সম্মান না পেয়ে তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন।

তবে বর্তমানে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। পরোক্ষে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে তৃণমূলের অনেকে আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে দলে না ফেরেন, তার জন্য দাবি তুলতে শুরু করেছেন।

আর তার মাঝেই প্রাক্তন সতীর্থ সম্পর্কে সুর নরম করতে দেখা গেল ফিরহাদ হাকিমকে। যার জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে গ্রহণ করতে পারেন বলে জল্পনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!