সিটের শীর্ষ পদে ছিলেনই না রাজীব কুমার! সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা নিয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন জাতীয় রাজ্য February 8, 2019 গত 3 ফেব্রুয়ারি হঠাৎই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজিব কুমারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হানা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যকে হেনস্থা করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পরেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত যাতে চূড়ান্ত মাত্রায় না পৌঁছে সেজন্য শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এক নির্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সিবিআইয়ের মুখোমুখি জেরায় বসতে হবে রাজীব কুমারকে। এমনকি এই জেরা পর্বের জন্য একটি নিরপেক্ষ জায়গা হিসেবে শিলংও স্থির করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে এখনই কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গ্রেফতার করা না গেলেও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করার জন্য সবুজ সংকেত পেয়েই এবার সেই জেরা পর্বের জন্য একাধিক প্রশ্নমালা সাজাতে শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ডিএসপি তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে এই রাজীব কুমারকে জেরা করবার জন্য 19 জনের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। আর যাকে নিয়ে এত কিছু সেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সারদাকাণ্ডে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম অর্থাৎ সিটের শীর্ষে ছিলেনই না বলে এবার আদালতে হলফনামা দিতে চলেছেন রাজীব বাবু। জানা গেছে, তৎকালীন সময়ে এই সিটের মাথায় ছিলেন ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। আর তাই এই ব্যাপারে আদালতে হলফনামা জমা দিতে চলেছেন কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। এদিকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যখন রাজীব কুমারকে জেরা করা নিয়ে জোর তোরজোর শুরু হচ্ছে, ঠিক তখনই রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তের জন্য এবার কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের দুই আইপিএস অফিসার মুরলীধর শর্মা এবং কল্যানী মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হল। তবে এই ব্যাপারে সমস্ত তথ্য ইডির দপ্তরের পাঠালেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইডি কর্তারা। সব মিলিয়ে এবার একদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করা নিয়ে দিনক্ষণ তৈরি করা, আবার অন্যদিকে রোজভ্যালি কাণ্ডে দুই আইপিএস অফিসারের কাছ থেকে তথ্য তলব – লোকসভা নির্বাচনের আগেই এবার আর্থিক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে বেশ ভালোভাবেই রাজ্যকে চেপে ধরেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -