গেরো ছাড়ছে না রাজীব কুমারের, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের DG-র বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে সিবিআই জাতীয় রাজ্য February 24, 2019 কোলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হলেও জট কাটছে না রাজীব কুমারের। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় রাজ্যপুলিশ আর সিবিআইয়ের সংঘাতের মামলা ফের সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। এবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের DG-র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল CBI। সারদা কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে তিনজনের বিরুদ্ধে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি হলফনামাও জমা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হলফনামায় সিবিআই দাবী করেছে,চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির টাকা নয় ছয় করতে পূর্ণাঙ্গ মদত দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন এবং তদন্তের আওতায় থাকা কর্মকর্তারা। হলফনামায় আরো বলা হয়েছে,এই চিটফাণ্ড কান্ডের তদন্ত বারবার এড়ানোর চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়া তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে তাঁরা। সিবিআইয়ের তথ্য অনুসারে,গত ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয় SIT (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম)। তারপর তদন্তকার্যে নেমে সন্দেহভাজনদের উদ্ধারকৃত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ (ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) মূল অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেয় রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন SIT- তদন্তকারী অফিসার। এমনটাই অভিযোগ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কোলকাতা হাইকোর্টের নজরদারির মধ্যে ওই সব গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মূল অভিযুক্তের হাত তুলে দেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে এই চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে বড়সড় ষড়যন্ত্রে পরোক্ষভাবে সামিল ছিল রাজ্য প্রশাসন এবং SIT। বারবার তদন্তকার্যে রাজ্য প্রশাসনের বাধা এবং তথ্য প্রমাণ নষ্টের কারণে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় শীর্ষ আদালত,এমনটাই বক্তব্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত,চলতি মাসের ৩ তারিখ চিটফাণ্ড কান্ডের জরুরি কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রাজীব কুমারের বাড়ি হানা দেয় সিবিআই। সিবিআইকে তদন্তকার্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় রাজ্যপুলিশ। এই সূত্র ধরে রাজ্যপুলিশ এবং সিবিআইয়ের সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব কুমারের বাড়ি যান। সেখান থেকে বেরোনোর পর সিবিআই এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধরনা তুলতে বাধ্য হন নেত্রী এবং সিবিআইয়ের জেরার সম্মুখীনও হতে হয় রাজীব কুমারকে। লাগাতার পাঁচদিন শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে সারদা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে চিটফাণ্ড কান্ডে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। সেই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। আপাতত দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশের দিকেই চোখ রয়েছে রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -