মেট্রো চ্যানেলে রাজীব কুমারকে পাশে নিয়ে ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআইকে ভয় কেন? বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি জাতীয় রাজ্য February 3, 2019 যে রাজীব কুমার কাণ্ডে তুলকালাম রাজ্য-রাজনীতি ছেড়ে জাতীয় রাজনীতি অবশেষে দেখা মিলল স্বয়ং সেই রাজীব কুমারের। নিজের ঘোষণা মত ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে গেছেন। তাঁর সঙ্গে ধর্নামঞ্চে রয়েছেন সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি রয়েছেন সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। আর সবাইকে চমকে দিয়ে ধর্ণা মঞ্চে পৌঁছে গেছেন খোদ কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার। এদিকে খবর যেসব সিবিআই আধিকারিকদের টেনে-হিঁচড়ে, কলার ধরে বা কার্যত চ্যাংদোলা করে শেক্সপিয়ার সরণী থানার পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, সেইসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর করা হয় নি। এমনকি ইতিমধ্যেই তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে সিবিআই প্রধান নাগেশ্বর রাও নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, যে সকল আধিকারিক আজ রাজীব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - নাগেশ্বর রাও আরও জানিয়েছেন, আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে পুরো পরিস্থিতি জেনে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। এদিকে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামীকাল দিল্লির থানায় কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে চলেছে সিবিআই। এমনকি, যেহেতু এই সারদা তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে, তাই আদালত অবমাননার অভিযোগে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টেই মামলা করতে পারে সিবিআই বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইকে ঢোকা থেকে আটকাতে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কার্যত যেভাবে দুর্গে পরিণত করা হল রাজীব কুমারের বাড়ি বা যেভাবে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ছুটে গেলেন সিবিআই তদন্ত আটকাতে – তাতে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, কি এমন আছে রাজীব কুমারের বাড়িতে যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ছুটে গিয়ে তা আটকাচ্ছেন? এই প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন সিবিআই তাঁকে একটি মামলায় জেরা করতে চাইলে তিনি স্বয়ং সিবিআইয়ের অফিসে যান ও টানা না ঘন্টা জেরার সম্মুখীন হন। তাহলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই তদন্তে এত ভয় কেন? আপনার মতামত জানান -