বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক প্রায় প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ করছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বাংলার স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে থেকে মূল লড়াই শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে।

যে লড়াই চরম আকার ধারণ করেছে। তবে এই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে দ্বৈরথ চরম আকার ধারণ করলেও, রাজীব কুমারকে নিয়ে বর্তমানে সমস্ত তদন্ত কিন্তু স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এককালে এই রাজীব কুমারকে নিজেদের বাগে আনার জন্য সিবিআইয়ের ছুটোছুটি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই সমস্ত ব্যাপার কার্যত অন্তরালে চলে গিয়েছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে সেই ইস্যুকে ঘিরে এবার তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বঙ্গ কংগ্রেসের প্রধান ব্যক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। অর্থাৎ, তারা দুজনে যতই বিরোধিতা করুন না কেন, তারা তলায় তলায় এক। কি বললেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি!

সূত্রের খবর, এদিন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধরনা প্রসঙ্গে সোমেন মিত্র বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের ফারাক একটাই। তৃণমূল রাস্তায় নেমে ধরনা করে। আর রাতের অন্ধকারে মোদী সাহেবের কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজীব কুমারকে ছাড়িয়েও আনে। আমরা এটা করি না।” আর প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্রের এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হতে শুরু করল রাজ্য রাজনীতি।

অনেকে বলছেন, সোমেন মিত্র এই কথা বলে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সমঝোতা রয়েছে, তা তুলে ধরে নিজেদের বিকল্প রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেন। কেননা বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে যেভাবে তৃণমূল- বিজেপি লড়াই চলছে, তাতে এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে মূল লড়াই হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সেদিক থেকে বাম এবং কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দলগুলো পিছনের সারিতে পড়ে গিয়েছে। আর তাই তৃণমূল এবং বিজেপি লড়াইয়ের মাঝে রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ টেনে এনে দুই দলের সমঝোতার কথা তুলে ধরলেন সোমেন মিত্র বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।