এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীব, লক্ষ্মীর পর এবার বেসুরো বৈশালী! তৃণমূলে বড় ভাঙনের আশঙ্কা!

রাজীব, লক্ষ্মীর পর এবার বেসুরো বৈশালী! তৃণমূলে বড় ভাঙনের আশঙ্কা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাওড়া জেলার তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এবার অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করার পর সম্প্রতি জেলা সভাপতি এবং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। আর এবার দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে।

স্বাভাবিক ভাবেই হাওড়া জেলার একাধিক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিরা একের পর এক বিস্ফোরক পদক্ষেপ এবং মন্তব্য করার পর এখন অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের। তাহলে কি হাওড়া জেলা তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরতে চলেছে! এখন এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। বস্তুত এদিন লক্ষ্মীরতন শুক্লা জেলা সভাপতি এবং মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন।

আর তারপরই মুখ খুলতে দেখা যায় বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। তিনি বলেন, “দলের একটা অংশ শুধু লক্ষীকে নয়, অনেক বিধায়ককে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না।” আর এরপরই যারা দল ছাড়ছেন, তাদের যেভাবে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে, সেই নিয়েও মুখ খোলেন বৈশালী ডালমিয়া। তিনি বলেন, “দল ছাড়লেই তো বেইমান বলা হবে। কিন্তু যারা উইপোকার মত দলকে কুরে-কুরে শেষ করে দিচ্ছে, সেই বেইমানদের তো তাড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

স্বাভাবিক ভাবেই একজন তৃণমূল বিধায়কের গলায় দল সম্পর্কে এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য উঠে আসায় নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেল ঘাসফুল শিবিরের। তাহলে কি বৈশালী ডালমিয়া এবার বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন! যেভাবে তিনি দলের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপকভাবে বেকায়দায় পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দলের কর্মীদের লাঞ্ছনা করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।যার পরেই তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হয়ত বা দলত্যাগ করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই রাজীববাবুকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদ থেকে ইস্তফা এবং তারপরেই আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের দল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য হাওড়া জেলা তৃণমূলের চিন্তাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। পর্যবেক্ষকদের মতে, তাহলে কি এবার লক্ষ্মীরতন শুক্লার পথে হেঁটেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে পা বাড়াবেন বৈশালীদেবী!

কিন্তু তিনি যদি তার পদ থেকে ইস্তফা দেন, তাহলে তার পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বা সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেননি বালির তৃণমূল বিধায়ক। তবে তার এই ধরনের মন্তব্য যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন পাইয়ে দিল এবং ব্যাপক চাপে রাখল তৃণমূল কংগ্রেসকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!