এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজীব-সাধনকে আহবান শুভেন্দুর, বাড়ছে জল্পনা!

রাজীব-সাধনকে আহবান শুভেন্দুর, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালে তার পথ ধরে অনেকেই ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেই মত শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখানোর সাথে সাথেই তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধিকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে দেখা গেছে। তবে সেভাবে রাজ্যের কোনো হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাননি।

কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার দক্ষিণ কলকাতার মধ্যেই সব সীমাবদ্ধ আছে বলে হাওড়া এবং উত্তর কলকাতাকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দুবাবু। যার ফলে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে। হাওড়া এবং উত্তর কলকাতার কথা বলে তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী সেখানকার তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের বিজেপিতে যোগদানের আহ্বান জানালেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন দাতনের সরাইবাজারের সভা থেকে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দক্ষিণ কলকাতার চার পাঁচটা লোকের জন্য বাইশটা তৃণমূল সাংসদ। চল্লিশটা মন্ত্রীর আঠারোজনের বাড়ি ওইখানে। আর আমরা বানের জলে ভেসে এসেছি না! দক্ষিণ কলকাতার গুটিকয়েক লোকের বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই গ্রামের লড়াই, জেলার লড়াই। উত্তর কলকাতাকে, পুরনো কলকাতাকে বলব, সঙ্গ দিন। আপনার জেলা বাটখারা মন্ত্রী পেয়েছে। হাওড়াকে বলব 500 বছরের প্রাচীন শহর। সঙ্গ দিন। আমি কোনোদিন শুনিনি অনগ্রসর দপ্তরের মন্ত্রী অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোক হয়। মাঝখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যাযকে করে দিয়েছিল।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, একপ্রকার নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে এবং রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিতে চাইলেন। বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার সময় থেকেই এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডেকে নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছিল। দলের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন একাংশ।

তবে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও, এখনও পর্যন্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। তবে শুভেন্দুবাবু এবার ময়দানে নামার সাথে সাথেই যে তাদের সম্মান নেই তৃণমূল কংগ্রেসে, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। পাশাপাশি নাম না করে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডেকে গেরুয়া শিবিরে আসবার জন্য আহ্বান জানিয়ে রাখলেন তিনি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কালীঘাটের কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সমস্ত পদ সীমাবদ্ধ রয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতাদের অসন্তোষকে বাড়িয়ে দিতে চাইলেন। এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করায় শাসকদলে যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

আর পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্দরমহলের ভেতরের খবর জানা শুভেন্দু অধিকারী সেই সাধন পান্ডে এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের চিন্তাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দিলেন। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, উত্তর কলকাতার সাধন পান্ডে এবং হাওড়ার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেদিক থেকে তাদের মত দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব যদি নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করেন, তাহলে তা তৃণমূলের কাছে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তবে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে কার্যত তৃণমূলকে যে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, তা বলাই যায়। আর তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে হলে যে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করাতে হবে, তা ভালোই জানেন অধিকারী পরিবারের এই নেতা। আর তাই এদিন দাঁতনের সভা থেকে “একটি পরিবারের মধ্যেই সব সীমাবদ্ধ” বলে অন্যান্য জেলার তৃণমূল নেতাদের বার্তা দিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বার্তায় সাধন পান্ডে বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!