এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের করোনা সংকট বিবেচনা করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পেছানোর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের করোনা সংকট বিবেচনা করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পেছানোর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতিবছরের সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট ইউজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর দেশে করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতার কারণে সামাজিক দূরত্ব বিধি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে এবছর এই পরীক্ষাদুটি অনেকটাই পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই পরীক্ষা কত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৮ থেকে ৩০ শে জুলাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং ২৩ শে জুলাই নিট ইউজি পরীক্ষাপরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাসে দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ কমাবার কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় এই পরীক্ষা আরো একমাস পিছিয়ে দেয়া হয়।

এরপর স্থির করা হয়েছিল আগামী সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৩ ই সেপ্টেম্বর নিট ইউজি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা। সুপ্রিম কোর্ট তাদের এই আর্জি খারিজ করে দেন এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়,  ” করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণে এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আগামী ২১ সে আগস্ট থেকে এই পরীক্ষাগুলি নেবার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের ৯৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের কারণে এবার পরীক্ষা সেন্টারের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। এরপর কেন্দ্র সরকার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছিল। এরপর সাড়ে ৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাদের এডমিট কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেছেন।

এভাবে আগামী সপ্তাহ থেকেই যেখানে সর্বভারতীয় ইঞ্জিয়ারিং পরীক্ষা এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পন্ন হতে চলেছে তার ঠিক একসপ্তাহ আগে আজ সোমবার কেন্দ্রের কাছে পরীক্ষা স্থগিত করার বিশেষ আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ বিষয়ে টুইট করে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা কারণে পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিশেষ আবেদন জানালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরীক্ষা পিছিয়ে দেবার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সর্বশেষ ভিডিও কনফারেন্সেও আমি ইউজিসির সূচি অনুযায়ী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলাম। কারণ এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া মানে ছাত্রছাত্রীদের বড়সড় ঝুঁকির সামনে ফেলে দেওয়া হবে।”

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, ইউজিসির গাইডলাইন মেনে পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা কার্যত অসম্ভব। তিনি আরো জানিয়েছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রদের প্রতি সরকারের একটি বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে। তাই রাজ্যের এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে কখনোই এমন কিছু করতে পারে না যাদের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীকে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে একটি টুইট করে লিখেছেন, ” আমি আরও একবার আর্জি জানাচ্ছি, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা স্থগিত করা হোক।”

তবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে , এখনো পর্যন্ত সাড়ে ৬ লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী তাদের এডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলেছেন, তাই এখন আর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া কার্যত অসম্ভব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!