এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে বড়সড় রদবদল! ডানা ছাটা হতে পারে একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর!

রাজ্য মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে বড়সড় রদবদল! ডানা ছাটা হতে পারে একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিপরিষদের ব্যর্থতা নিয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি দপ্তরের দায়িত্ব রদবদল করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গেল। এখানে বেশ কয়েকটি দপ্তরের পূনর্বিন্যাস ঘটিয়ে কাজের গতি বাড়ানোর ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কার হাতে কোন দপ্তর যাবে এবং কাদের ডানা ছাটা হতে পারে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

সূত্রের খবর, খাদ্য এবং গণবণ্টনের দায়িত্ব আলাদা করে দেওয়া হতে পারে। একইভাবে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে পরিবহন এবং সেচের মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থাকায় সেই দুটিকেও আলাদা করা হতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়নের ব্যাপারেও একই ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, খাদ্য এবং গণবণ্টন এই দুই দপ্তর বর্তমান সময়ে বেশ উপযোগী। মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না। রেশনে গিয়ে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই কাজ কারও ভালোমতো করতে গেলে দুই দপ্তর একবারে সামলানো অসম্ভব জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পক্ষে। তাই সেখানে তার কাজ হালকা করার জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পরিবহন এবং সেচ দপ্তর বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ একদিকে লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবস্থা যেমন সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই সামনে বর্ষার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। ফলে সেখানে সেচ দপ্তরের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে যায়। তাই এই দুই কাজ যাতে ভালোমতো হয়, তার জন্য একজনকে দুই গুরু দায়িত্ব দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বর্তমানে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের জন্য একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে। তাই এই দপ্তরের জন্য একজন পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে খবর। একইভাবে রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর আলাদা করে ভার কমানো হতে পারে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপর থেকে। তবে সবথেকে বেশি জল্পনা চলছে যাকে নিয়ে, তিনি হলেন রাজ্যের বর্তমান ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।

সম্প্রতি নিজের সহকর্মী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলে রীতিমত তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন সাধনবাবু। সেদিক থেকে দলীয় বৈঠকে নাম না করে সেই সাধন পান্ডেকে সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেন এবং কাদের কাদের ডানা ছাটা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!