এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অবসরের পরেও দেশমাতৃকার সেবাতে নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াইয়ের জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন বাংলার জওয়ানদের

অবসরের পরেও দেশমাতৃকার সেবাতে নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াইয়ের জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন বাংলার জওয়ানদের

তাঁদের কর্মজীবনে দেশের হয়ে সীমান্তে রক্ত ঝরিয়েছেন অনেকেই। কার্গিল যুদ্ধে এঁদের মধ্যে অনেকেরই নির্ভীক লড়াইয়ের দরুণ জয় এসেছে দেশে। বর্তমানে তাঁরা অবসরপ্রাপ্ত,তবুও দেশের জন্যে তাঁরা উৎসর্গীকৃত প্রাণ এটা আরো একবার প্রমাণ দিতে চান পূর্বস্থলীর ৭১ জন প্রাক্তন সেনাকর্মী।

আর সেজন্যেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গিদমনে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে পিছপা হলেন না তাঁরা। আর এজন্যে সাহায্য করার অার্জি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই প্রাক্তনীরা। প্রয়োজনে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র তুলে নিতেও রাজি তাঁরা। পূর্বস্থলী থানার আইসিকে সেটা জানিয়েই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত,এসটিকেকে রোডের পারুলিয়া বাজারে জঙ্গী হামলায় শহীদদের স্মরণে একটি সভার আয়োজন করেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান এবং তাঁর পরিবারবর্গ। সেখানেই পূর্বস্থলী থানার আইসি রাকেশ মিশ্রের হাতে আবেদনপত্র তুলে দেন এলাকার ৭১ জন প্রাক্তন সেনারা। সেই আবেদনপত্রে প্রাক্তন সেনারা জানিয়েছেন,’কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হানায় ৪৯ সেনার মৃত্যুতে তাঁরা শোকাহত। এর বদলা চান।

তাঁরা জঙ্গিদমনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনীর ডাক পেলেই তাঁরা যুদ্ধে রওনা দেবেন। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তাঁরা লড়াই করবেন।’ আবেদনপত্রে সাক্ষরও করেছেন ওই ৭১ জন প্রাক্তন সেনা জওয়ান। এই প্রেক্ষিতে আইসি বলেছেন,প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের সাক্ষর করা আবেদনপত্রটি অবিলম্বে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

এদিন পুলওয়ামা জঙ্গী হামলার শহীদ স্মরণে মোমবাতি জ্বালানো হয়। এসটিকেকে মৌন মিছিল করেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। শোকসভায় উপস্থিত প্রাক্তন মেজর তারিনীকান্তি বিশ্বাসই ৭১ জন প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের স্বাক্ষর করা আবেদনপত্র তুলে দিয়েছিলেন আইসির কাছে।

তারপর বক্তব্যে পুলওয়ামা জঙ্গী হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন,জঙ্গীদের সামনে রেখে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ১৪ ফেব্রুয়ারীর পুলওয়ামা কাণ্ড তারই প্রমাণ। এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই ঘরে বসে থাকা যায় না। তাই সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্যে সীমান্তে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত তিনি। প্রসঙ্গে জানালেন,তাঁর চাকরি জীবনের গোটা সাত বছর তিনি কাশ্মীর-পাকিস্তান সীমান্তে কাটিয়েছেন। ৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধেও লড়াই করেছেন তিনি।

কাজেই ওখানের রাস্তাঘাট সবই তাঁর চেনা। সেজন্যেই পাকিস্তানের এধরণের কাপুরুষোচিত আচরণের যোগ্য জবাব দিতে যুদ্ধে যেতে চাইছেন তিনি। একই সুরে কথা বলেন প্রাক্তন মেজর উদয় শঙ্কর মজুমদার, দীপক কুমার পাল, দীনেশ দেবনাথ, গণেশ মজুমদার, স্বপন মল্লিক, শরৎ শিকদার, সুবল শর্মারা। তাঁদেরও বক্তব্য,চাকরি জীবনে কাশ্মীরে ডিউটিকালীন অনেক জঙ্গীকে খতম করেছেন তাঁরা। ফের একবার সন্ত্রাসের মদত দেওয়া পাকিস্তানকে কব্জির জোর দেখানোর সময় এসেছে। ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নিতে প্রস্তুত তাঁরা।

আর প্রাক্তন হলেও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এখনো ভোলেননি তাঁরা। আর সেজন্যেই সীমান্তে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে সাহায্য করার আবেদন জানালেন প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা। পারুলিয়ার এক প্রাক্তন সেনানায়ক মন্টু মজুমদার এ প্রসঙ্গে জানালেন,তিনিও কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করেছেন একসময়। এখন তাঁর ছেলে সৌরভ মজুমদার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। বর্তমানে সৌরভ জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং রয়েছে।

এই সময় ছেলের পাশে থেকে জঙ্গিদমনে লড়াই করাটাকে গর্ব বলে মনে করছেন তিনি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়াই করার প্রতিশ্রুতি নিলেন প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের এধরণের প্রতিশ্রুতি আরো একবার মনে করিয়ে দেয় ভারতবর্ষ বীরপুরুষদেরই গর্ভগৃহ,এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!