এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালকে তৃণমূল কেন “ভয়” পাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে “ফাঁস” করে দিলেন দিলীপ ঘোষ!

রাজ্যপালকে তৃণমূল কেন “ভয়” পাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে “ফাঁস” করে দিলেন দিলীপ ঘোষ!


 

অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হল। রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততার ঘটনা এবার পৌঁছে গেল লোকসভা এবং রাজ্যসভার অন্দরমহলে। যে ঘটনা এতদিন রাজ্য রাজনীতিকে উত্তপ্ত করেছিল, এবার সেই ঘটনা উত্তপ্ত করে দিল জাতীয় রাজনীতিকেও।

বস্তুত, রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে জাগদীপ ধনকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। আর এই দূরত্ব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, নবান্ন এবং রাজভবনের তরফে প্রতিক্রিয়া, পাল্টা প্রতিক্রিয়ার প্রতিযোগিতা। যার ফলে সম্প্রতি পরোক্ষে রাজ্যপালের নাম না করে তার বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রশাসনিক বনাম সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যেকার দূরত্ব যে রাজ্যের উন্নয়নকে অনেকটাই বিপাকে ফেলতে পারে, তা বুঝতে বাকি ছিল না বিশেষজ্ঞ মহলের।

আর তাইতো লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তায় অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নজড়েও গোটা ব্যাপারটি নিয়ে এসেছিলেন সুদীপবাবু। আর এরপরই সংসদে এই ব্যাপারে সরব হবে তৃণমূল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অবশেষে তাই হল।

একদিকে যখন রাজ্যসভায় রাজ্যের রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে, ঠিক তখনই পাল্টা কেন রাজ্যপালকে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে! তা নিয়ে তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর রাজ্যসভা এবং লোকসভায় এই তরজা বঙ্গ তথা জাতীয় রাজনীতিতে এবার চরম আকার ধারণ করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ভূমিকা মাঝেমধ্যেই সাংবিধানিক এক্তিয়ার ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যপাল রাজনীতি করতেই পারেন। কিন্তু তা রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে এসে করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে রাজ্যপালকে নিয়ন্ত্রণ করা।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

এদিকে তৃণমূল সাংসদের মুখ থেকে এহেন কথা শুনে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেন। আর এরপরই পাল্টা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “স্যার, এখানে রাজ্যের সমস্যা সম্পর্কে বলার অবকাশ করে দেওয়াটা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে এখন রাজ্যপাল কেমন আচরণ করছে, সেকথা সর্বজনবিদিত।” এদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় যখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সরব হচ্ছেন, ঠিক তখনই পাল্টা লোকসভায় এই ইস্যুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

এদিন এই প্রসঙ্গে লোকসভায় মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের এলাকাগুলি দেখতে চাইছেন, আক্রান্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছেন। এর মধ্যে কোনো এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয় নেই। আসলে এভাবে সর্বত্র রাজ্যপাল ঘুরে বেড়ালে তাদের অনেক কথা গোপন কথা প্রকাশ্যে চলে আসার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। আর তাই এত বিরোধিতা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যথেষ্ট সক্রিয়। নিষ্ক্রিয় ভাবে বসে থাকতে তিনি পছন্দ করেন না। স্বাভাবিক কারণেই তাকে শাসকদলের বিরাগভাজন হতে হয়েছে।”

আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য এখন রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে বাড়িয়ে দিয়েছে জল্পনা। লোকসভার অন্দরে যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের সাথে রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতির কথা তুলে ধরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ, তাতে তৃণমূল কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলে মনে করছে একাংশ। সব মিলিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বনাম রাজ্যপালের এই ইস্যু ঠিক কোন আকার ধারণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!