এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের বাড়ল রাজ্য- রাজ্যপালের বিরোধ, রাজ্যপাল দিলেন মন্ত্রীদের কড়া বার্তা, সংবিধান অবমাননা দাবি শাসকদলের

ফের বাড়ল রাজ্য- রাজ্যপালের বিরোধ, রাজ্যপাল দিলেন মন্ত্রীদের কড়া বার্তা, সংবিধান অবমাননা দাবি শাসকদলের

জাগদীপ ধনকার রাজ্যের রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই নবান্ন বনাম রাজভবনের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে চলা রাজ্যের একের পর এক ঘটনায় যখন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সমালোচনা করছেন, ঠিক তখনই সেই রাজ্যপালকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে শাসকদলের নেতাদের।

শুরুটা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যপাল সেখানে উপস্থিত হলে, তা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার দাবি ছিল, নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে সংবিধানকে অমান্য করেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অসাংবিধানিক কাজ করেননি।

রাজ্যের সুরক্ষার স্বার্থে তিনি সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজভবনের প্রধান ব্যক্তি। এরপর দুর্গা কার্নিভালে তাকে অপমান করা এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা জিয়াগঞ্জের খুনে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করায় সেই রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দূরত্ব আরও প্রবলভাবে তৈরি হয়।

আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যায়, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একের পর এক মন্ত্রীরা ময়দানে নেমে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন। সম্প্রতি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলে তা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করতে দেখা যায় রাজ্যের বর্ষিয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।

যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল যদি তার রাজ্যের পুলিশের ওপর ভরসা করতে না পারেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রিরা একের পর এক রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় শোরগোল উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তবে এতদিন এই ব্যাপারে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি স্বয়ং রাজ্যপাল। কিন্তু এবার অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বলেন, “ওনার মত একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক কথা মন্ত্রিসভার সদস্য নিজেই সরকারের সঙ্গে কথা বলেই জেনে নিতে পারতেন। কিছু না জেনেই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।”

পাশাপাশি তিনি রাজ্যপাল পদে বসার পর থেকেই যেভাবে তাকে আক্রমণ করে এসেছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এদিন তা নিয়েও পার্থবাবুর নাম না করে তাকে সতর্ক করে দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তার ক্যাবিনেট সদস্যদের বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া। আমি কখনই কোনো অতি সক্রিয়তা করছি না। আমি সক্রিয়। কিন্তু মন্ত্রীরা তার ডেকোরাম বজায় রাখছেন না।”

বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে ক্রমাগত আক্রমণ, আর এবার সেই ব্যাপারে নীরবতা ভেঙে রাজ্যের মন্ত্রীদের রাজ্যপালের সতর্ক করে দেওয়া – এই দুই ঘটনা রাজ্যের মানচিত্রে অত্যন্ত বিরল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদি এইভাবে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা তৈরি হয়, তাহলে প্রশাসনিক কাজ থেকে সাংবিধানিক কাজ, সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্য সমূহ বিপদের দিকে এগিয়ে যেতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!