এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাতে প্রশাসনিক কর্তারা কেন তৃণমূল কর্মীর মত আচরণ করছেন? উঠছে প্রশ্ন

রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাতে প্রশাসনিক কর্তারা কেন তৃণমূল কর্মীর মত আচরণ করছেন? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ও শাসক দলের সংঘাতের বিষয়টি এখন আর কারো কাছে হয়তো অজানা বিষয় নেই। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন। যেমন করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, রাজ্যের আইন শৃংখলা ইত্যাদি নিয়ে একাধিকবার রাজ্যকে হুল বিদ্ধ করেছেন রাজ্যপাল। আর রাজ্যপালের তরফ থেকে আক্রমণ আসার পর, শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা চুপ করে থাকেন নি। তারাও এর প্রতি উত্তর করেছেন। ফলে শুরু হয়েছে দু’পক্ষের টুইট যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসের দিন বিকেল পাঁচটায় রাজভবনে একটি চক্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। আর এই বৈঠকে তিনি আমন্ত্রণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের বিশিষ্ট জনকে।

কিন্তু রাজ্যপালের আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও এই চা-চক্র অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাজভবনে চা চক্রের আয়োজন কিন্তু কোন নতুন বিষয় নয়। বলা যেতে পারে এটি একটি বাৎসরিক রীতিনীতি, যা প্রতি বছরেই হয়ে আসছে। স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাজভবনে চা-চক্রের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ আমন্ত্রিত হন রাজ্য সরকারের বিশিষ্ট উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই সঙ্গেই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ লাভ করে থাকেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের বেশকিছু নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিনে অর্থাৎ গত শনিবারে বিকেল পাঁচটার সময়ে রাজ্যপালের উদ্যোগে রাজভবনে চা-চক্রের এই বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান আয়োজনের অনেক আগেই দুপুর বেলাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশাসনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরাও সেস্থলে উপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত সময়ের বহু পূর্বে রাজ্যপালের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের কারণে জনসমাগম এড়াতেই তিনি সঠিক সময়ের পূর্বে এসেছেন।

এছাড়া সেদিন বিকেলে বেশকিছু কাজে ব্যস্ত থাকার জন্যও তাঁর তখন পক্ষে রাজভবনে আসা কঠিন ছিল। বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী এখানেই অভিযোগ তুলেছেন একেই তো মুখ্যমন্ত্রী সঠিক সময়ের বহু পূর্বে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের শীর্ষ অধিকার আধিকারিকরা, তাঁরা কেন রাজ্যপালের চা-চক্রে উপস্থিত হলেন না। এ প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপালের চা-চক্রে অনুপস্থিত থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা যে কাজ করেছেন একেবারেই নিন্দনীয়। উপরন্তু রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ কমিশনার, কিংবা ডিজিপি সকলেই কেন চা-চক্রে নিজেদের অনুপস্থিত রেখেছেন? এই বিষয় নিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন তিনি।

ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেছেন যে, রাজ্যের বেশ কিছু আধিকারিক সঠিক সময়ে চা-চক্রে উপস্থিত না হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বহু পূর্বেই সেখানে সেখানে উপস্থিত হয়ে শাসক দলের কর্মীদের মতো কাজ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ টলায়মান হয়ে পড়েছে, সেইসঙ্গে যারা এখন প্রশাসনে আছেন, তাঁরা নিজেদের প্রশাসনিক দায়িত্ব ভুলে শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছেন। তার অভিযোগ, বর্তমানে রাজ্যে কোন স্বাধীন প্রশাসকই নেই। এমন ঘটনা বাংলার জন্য যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক বলে তিনি মনে করেন। প্রসঙ্গত, সুজন চক্রবর্তী আরো অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান রাজ্যের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী সবসময় রাজনীতিকেই গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন ।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে, বর্তমান সময়ে অত্যন্ত সঙ্কটজনক সময়, তা কখনোই আড্ডা মারার সময় নয়। সুজন চক্রবর্তী আরো অভিযোগ করেছেন, বিকেল বেলায় সঠিক সময় না গিয়ে দুপুরবেলায় রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই সিদ্ধ করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!