এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে করোনা সংক্ৰমন বাড়ছে হুহু করে! তার থেকেও ভয়ঙ্কর করোনা যুদ্ধে ৫৭ চিকিৎসকের শহীদ হওয়া!

রাজ্যে করোনা সংক্ৰমন বাড়ছে হুহু করে! তার থেকেও ভয়ঙ্কর করোনা যুদ্ধে ৫৭ চিকিৎসকের শহীদ হওয়া!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, দুর্গোৎসবেও যথেষ্ট ভাটা পড়েছে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রায়দান করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা ভাইরাসকে খাটো করে দেখলে চলবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের ঢল রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ এই করোনায় আক্রান্ত হলেও চিকিৎসকদের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে গোটা রাজ্য জুড়ে। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় 57 জন চিকিৎসকের।

স্বাভাবিকভাবেই সাধারন মানুষ যখন আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন এবং অনেকের মৃত্যু হচ্ছে, ঠিক তখনই যারা সেই সাধারণ মানুষকে সুস্থ করে তুলবেন, সেই চিকিৎসকদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্য সামনে আসায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকদের মধ্যেই যদি এই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়, তাহলে তারা কিভাবে সাধারণ মানুষকে সুস্থ করে তুলবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মানস গুমটা বলেন, “আমরা ক্লান্ত, অবসন্ন। ইতিমধ্যেই প্রায় 57 জন চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কি করে আমরা লড়ব! কাদের নিয়ে লড়ব! তার মাঝে উৎসবকে যেভাবে উৎসাহিত করা হল। পুজো নিশ্চয়ই হবে, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হল না। হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত। সরকার ও মানুষের এসব বোঝা দরকার। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকলে আমাদের খারাপ লাগবে। বেদনাদায়ক পরিস্থিতি হবে। আমরা হয়ত চিকিৎসা করতে পারব না। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, তাও তারা অনুষ্ঠান বন্ধ করছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ বেশি পরিমাণে জমায়েত না করার কথা বলা হলেও, তা যে বারে বারে লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং তার কারণেই যে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস, তা কার্যত স্পষ্ট বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের কথায়। আর এইভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিন করোনা ভাইরাসে যে বিধ্বস্ত হতে পারে বাংলা, তাও তিনি আশংকার সুরে শুনিয়ে দিয়েছেন।

একাংশ বলছেন করোনাভাইরাস এ যদি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় তাহলে তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রায় দেওয়া হয়েছে, পুজোতে মানুষ যাতে সেভাবে যোগদান না করেন। ভার্চুয়ালের মাধ্যমেই যাতে দুর্গাপুজো উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র সচেতনতা তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ একাংশের। যার ফলে পুজো প্যান্ডেলগুলোতে উপচে পড়তে শুরু করেছে ভিড়। তাই ভবিষ্যতে এই ভিড়ের কারণে করোনা ভাইরাস ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। আর তখন তা মোকাবিলা করা কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর ফোরামের পক্ষ থেকে ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ বলেন, “করোনার সংক্রমণ এখানে সাত মাস হয়ে গেল। চিকিৎসা কর্মীরা সকলেই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে আমরা জানি না আর কতদিন লড়াই করতে হবে! নিকট ভবিষ্যতে লড়াই ছেড়ে যাওয়ার জায়গা নেই। পুজোর আগে ও পরে জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা হওয়াটা একেবারেই ঠিক নয়। এরকম হলে কেরালার মত এই রাজ্যের অবস্থা হবে।” সব মিলিয়ে চিকিৎসকদের গলাতেও এবার করোনা ভাইরাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে গোটা বাংলাজুড়ে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে ভয়াবহ ভাইরাসের প্রকোপ আটকানো সম্ভব হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

* ছবিটি প্রতীকী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!