এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজ্যে লাগু হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন? শুভেন্দুর মন্তব্যে বাড়লো জল্পনা!

রাজ্যে লাগু হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন? শুভেন্দুর মন্তব্যে বাড়লো জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার রাজ্যের হিংসার ঘটনার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যে পা রেখেছে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি ক্রমশ বেড়েছে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের। তৃণমূলের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এখন থেকেই চক্রান্ত শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বাংলার ক্ষমতা দখল করতে না পেরে তারা এখন নির্বাচিত সরকারকে রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যে দিয়ে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। আর এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের পর এই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা জোরালো হয়ে উঠল। যেখানে রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে 356 ধারার কথা উল্লেখ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, সোমবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দিল্লিতে তলব করা হয় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেই মত করেই আজ দিল্লিতে পৌঁছে যান নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। যেখানে অমিত শাহের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করতে দেখা যায় তাকে। আর তারপরই বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, “এখনও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা রয়েছে। আমি বিষয়টা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। রাজ্যের অবস্থা 356 ধারার থেকেও খারাপ। দেশে একটা শক্তিশালী সরকার রয়েছে। তুলনায় রাজ্যের সরকার তো কোনো সরকারই নয়। কেননা এই সরকার সংবিধান মানে না। একটু সময় লাগবে। ওয়েট এন্ড সি।” আর বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটু সময় লাগবে বলে 356 ধারা উল্লেখ করে কি বোঝাতে চাইলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের হিংসার ঘটনার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে, এই ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি?  পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর মঙ্গলবারের বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের কর্মীরা ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি রাজ্যপালের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দল।

তারপরে কেন্দ্রের কাছে একাধিক রিপোর্ট পেশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। এমনকি কেন এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও যাতে রিপোর্ট পেশ করা হয়, তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন জাগদীপ ধনকার। আর এই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ যে সরকারের খুব একটা পক্ষে যাচ্ছে না, তা প্রথম থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পর বাইরে বেরিয়ে এসে রাজ্যের পরিস্থিতি 356 ধারার থেকেও খারাপ বলে কার্যত পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!