এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হেভিওয়েট বিধায়ক, ত্রিফলাতে বিদ্ধ শাসকদল!

রাজ্যের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হেভিওয়েট বিধায়ক, ত্রিফলাতে বিদ্ধ শাসকদল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন তিনি। আর গেরুয়া শিবিরের টিকিটে জয়লাভ করার পরে বিধানসভায় পা রাখার সাথে সাথেই উত্তরবঙ্গের একাধিক সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের সমস্যা থেকে শুরু করে মহিলাদের অসুবিধার কথা তুলে ধরা সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে দুরাবস্থার কথা বিধানসভার অধিবেশন পেশ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু এবার আর রাজ্য বিধানসভায় সরব হওয়া নয়। বরঞ্চ রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল মালদহের ইংরেজবাজার বিজেপি বিধায়ককে।

যেখানে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া উত্তরবঙ্গের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন তিনি। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের উপর যে তার আর কোনো ভরসা নেই, সেই কথা বুঝিয়ে দিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে একাধিক সমস্যা নিয়ে তদ্বির করতে দেখা গেল তাকে। যার ফলে বিজেপি বিধায়কের দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের ফলে তৃণমূল সরকার যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন দিল্লিতে গিয়ে সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এবং কোচবিহারের সাংদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা করেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। আর তারপরেই উত্তরবঙ্গের চা বাগানের সমস্যা থেকে শুরু করে নারী পাচার, বিভিন্ন বিষয়ে সরব হতে দেখা যায় এই বিজেপি বিধায়ককে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যাগুলো নিয়ে বলে আসছি। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলোতে 2.6 লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। তাদের সিংহভাগ মহিলা শ্রমিক। কিন্তু তারা সমমজুরি পান না। মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, বন্ধ চা বাগানগুলো থেকে মহিলাদের পাচার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই ব্যাপারে নিশীথ প্রামানিককে আবেদন জানানো হয়েছে।” পাশাপাশি মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য পরিসেবা অত্যন্ত বেহাল বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় এই বিজেপি বিধায়ককে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইংরেজবাজার এই বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদের কাছে একগুচ্ছ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেন।

একাংশ বলছেন, রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি বাংলার উপর নজর দিতে চাইছে। এক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে যাতে বাংলার উপর প্রভাব বিস্তার করে আরও ভালো ফলাফল করার জন্য চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদ এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের উপর সম্পূর্ণ নজর রাখার জন্য নিশীথ প্রামানিককে নিজের ডেপুটি করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আর এই পরিস্থিতিতে তার দলের চার সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে না পেতেই উত্তরবঙ্গের একাধিক সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে দিল্লিতে পৌঁছে যেতে দেখা গেল ইংলিশবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। বলা বাহুল্য, এমনিতেই বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে তৃণমূল সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এক্ষেত্রে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের এই সমস্যা নিয়ে বিধানসভার ভেতরে সরব হয়েছেন ইংলিশবাজারের বিজেপি বিধায়ক। আর এবার তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দুরাবস্থা থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের অবহেলা এবং নারী পাচারের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানালেন হেভিওয়েট এই বিজেপি নেত্রী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!