এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও বড় ভাঙ্গন তৃণমূলে, দলবদলে সরগরম রাজ্য!

রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও বড় ভাঙ্গন তৃণমূলে, দলবদলে সরগরম রাজ্য!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকেই বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। ভোটের আগে যারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সারা রাজ্যে এইরকম ঘটনা ঘটতে দেখা গেলেও, অন্য ঘটনা ঘটতে দেখা গেল নবদ্বীপে। যেখানে বুধবার তৃণমূলে যোগ দিলেও 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার বিজেপিতে ফিরে গেলেন নবদ্বীপের একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস জোর করে তাদের দলের এই জনপ্রতিনিধিকে নিজেদের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভুল বুঝতে পেরে আবার সেই জনপ্রতিনিধি ভারতীয় জনতা পার্টিতে ফিরে এসেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসেরও।

বস্তুত, নবদ্বীপের মাজদিয়া- পানসিলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যার ফলে 9 টি আসন থাকা তৃণমূল একটি সদস্য পেয়ে রীতিমত সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে একদিন কাটতে না কাটতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদনমোহন দফাদার ফের ফিরে আসলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

কিন্তু এক রাতের মধ্যে এমন কি হল, যার কারণে তিনি আবার দল বদল করলেন? কেনই বা তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছিলেন? আর কেনইবা ফিরে এলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মদনমোহন দফাদার বলেন, “ভুল করে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থাতে সই করেছিলাম। তার জন্য কেউ আমায় কোনো চাপ দেয়নি। পারিবারিক নানা সমস্যার মধ্যে আছি। তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। সেই জন্য একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আবেদন করলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মদনমোহনবাবু যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন এই পঞ্চায়েতের প্রধান পবিত্রা নন্দী। তবে যে কোনো কারনেই হোক, এভাবে এক রাতের মধ্যে দলবদল যে নবদ্বীপের রাজনীতিতে কার্যত প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। একে অপরের দিকে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। যা সরগরম করে তুলেছে সেখানকার রাজনীতিকে।

কেন তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েও আবার তিনি বিজেপিতে যোগদান করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে নবদ্বীপ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “আমরা দল ভাঙানোর রাজনীতি করি না। উনি গত একমাস ধরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। নিজেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ওই অঞ্চলের জনগণ উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে না। তাই মানুষের কথা ভেবে আমরা ওনার প্রস্তাব সমর্থন করেছিলাম। উনি আবেদন প্রত্যাহার করলে আমাদের অসুবিধে নেই।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “মদনবাবু শাসকদলের ফাঁদে পড়ে ছিলেন। দ্রুত ভুল বুঝে সরে এসেছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন নেতা-নেত্রীরা, তখন তৃণমূলে যোগ দিয়েও 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার বিজেপিতে ফিরে আসার ঘটনা কার্যত বেনজির। এর ফলে নবদ্বীপে যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়ে গেল শাসক দল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে তৃণমূলের হাতে পঞ্চায়েত গেলেও, এক সদস্যের দলবদলে তা বিরোধীদের দখলেই থেকে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!