এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্য কমিটিতে জায়গা নয়, শুভেন্দুর দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ? বাড়ছে গুঞ্জন!

রাজ্য কমিটিতে জায়গা নয়, শুভেন্দুর দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ? বাড়ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, তখন সাংসদ হিসেবে নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে তাকেও টাকা নিতে দেখা দিয়েছিল। আর সেই ভিডিও ফুটেজ বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে প্রকাশ করার সময় তৃণমূলের সমস্ত নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। পরবর্তীতে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বর্তমানে নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দেখতে পাওয়া মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে রয়েছেন।

কিছুদিন আগেই নারদ কান্ডে সক্রিয়তা অবলম্বন করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপর থেকেই সিবিআই তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করলেও, কেন বিজেপিতে থাকা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বা তার বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। যে বৈঠকের পেছনে রাজ্য কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারী বড় জায়গা পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সাংগঠনিক দিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাংশ জল্পনা তৈরি করলেও, এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশের।

যার মূলে রয়েছে, নারদ কান্ড থেকে রক্ষা পাওয়া। আর সেই কারণেই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে দাবি করছে একাংশ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বস্তুত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। তবে নন্দীগ্রামে নিজের চ্যালেঞ্জ রক্ষা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে নিজের সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই তাকে বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে। ঘরে এবং বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে শুভেন্দু অধিকারী যে এখন বঙ্গ বিজেপির প্রধান সেনাপতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, তাকে সাংগঠনিক জায়গায় বসাতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি যাওয়ার পর সেই জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করে। কিন্তু তার মাঝেই একাংশ দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি আসার পেছনে অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে নারদ কান্ড। যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে এই দুই বিজেপি নেতা এখন যথেষ্ট চাপে রয়েছে।

তাই বিতর্ক যাতে তাদের নাগপাশে না আসে, তার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে সেই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে দাবি করছে সমালোচক মহল। যদিও বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে সেই বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, নারদ কান্ডে যখন সিবিআই সক্রিয়তা অবলম্বন করেছিল, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় কেন ছাড় পেয়ে গেলেন? শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গেলেও, কেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সিবিআই? যদিও বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যখন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখন তিনি সাংসদ ছিলেন।

সেদিক থেকে লোকসভার অধ্যক্ষ অনুমতি না দিলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। আর এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন লাগাতার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তখন সেই বিষয়ে রক্ষা পেতেই শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করল। যদিও বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে তা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তিনি বলেন, “ওই মামলা থেকে পরিত্রাণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি, এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তবে শুভেন্দু অধিকারী জল্পনা তৈরি হওয়া বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিলেও সমালোচক মহল বা তৃণমূলের একাংশ। কিন্তু ব্যাপারটিকে কোনোমতেই সহজভাবে গ্রহণ করছে না। যার জেরে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!