এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য নেতৃত্ব গুরুত্ব দিতে চাইলেও জেলা নেতৃত্বের গুরুত্ব পাচ্ছেন না ছত্রধর! জঙ্গলমহলে বাড়ছে অশান্তি!

রাজ্য নেতৃত্ব গুরুত্ব দিতে চাইলেও জেলা নেতৃত্বের গুরুত্ব পাচ্ছেন না ছত্রধর! জঙ্গলমহলে বাড়ছে অশান্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন শ্রীঘরে থাকার পর অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পরেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়। এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হলেও, তিনি এবার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। অবশেষে সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক শেষে ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেয় তৃনমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, যে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে, তাকে সংগঠনের দায়িত্ব কেন দিল তৃণমূল!

তবে জঙ্গলমহলের সংগঠনকে পুনরুদ্ধারের জন্য ছত্রধরের ভূমিকা যে খুব প্রয়োজন শাসকদলের কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তাকে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে পরোক্ষে জঙ্গলমহলের সংগঠন সাজানোর জন্য বাড়তি দায়িত্ব দিল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু জঙ্গলমহলের সংগঠন সাজানোর জন্য ছত্রধর মাহাতো উদ্যোগী হলেও, এবার এক বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে ছত্রধর মাহাতো বনাম ব্লক নেতৃত্বের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, বুধবার লালগড় ব্লকের বেলাটিকরি পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান জ্যোৎস্না টুডুর সঙ্গে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সোরেন সহ অন্যান্যরা। আর বিজেপিতে এই ভাঙ্গনের জন্য গোটা কৃতিত্বকে নিজের বলে দাবী করার চেষ্টা করেন ছত্রধর মাহাতো। তিনি বলেন, “প্রধান জ্যোৎস্না টুডু দুইবার আমার বাড়িতে এসেছিলেন। আমাকে নেতৃত্ব পেয়ে শুধু প্রধান নন, বেলাটিকারি অঞ্চলের বিজেপির সমস্ত পদাধিকারী ও কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জঙ্গলমহল জুড়ে বিজেপির ধ্বস নামবে।” তবে ছত্রধর মাহাতোর বিপক্ষে এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে দেখা যায় ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাতোকে। তিনি বলেন, “বিজেপির প্রধান অঞ্চল নেতৃত্বের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরাও কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই ঘটনাতেই কার্যত স্পষ্ট যে, ছত্রধর মাহাতো এবং তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরী হচ্ছে। যেভাবে বিজেপিতে যোগদান করানোর ব্যাপারে ছত্রধরবাবু নিজের কৃতিত্ব দাবি করলেন এবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামলবাবু নিজের কৃতিত্ব দাবি করলেন, তাতে এই দুই নেতার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। তাহলে এই দলবদলের পেছনে প্রধান কৃতিত্ব কার? কে এই বিজেপি নেত্রী সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে আসলেন? ছত্রধর মাহাতো নাকি শ্যামল মাহাতো?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “এই অঞ্চলে বিজেপির প্রধান এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কয়েক দিন ধরেই কথাবার্তা চলছিল। স্থানীয় নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মঙ্গলবার শ্যামল আমাকে ফোন করে জানান, বুধবার বিজেপির লোকজন তৃণমূলে যোগ দিতে চান।” অর্থাৎ জেলা সভাপতি এই ব্যাপারে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করলেও, ছত্রধর মাহাতো এবং শ্যামল মাহাতো দুজনেই যেভাবে এই গোটা ঘটনায় নিজেদের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করলেন, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদি তাই হয় এবং সেদিকে এগোয় গোটা পরিস্থিতি, তাহলে জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধার করা তো দূর অস্ত, এই দুই নেতা ক্রমশ অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলেই মত ঘাসফুল শিবিরের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। গোড়াতেই দুই নেতার দ্বন্দ্ব যদি আটকে দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে শাসক দল আর অস্বস্তিতে পড়বে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!