এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > রাজ্যপালের সম্মতি না নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, ভয়াবহ বিবাদের আশঙ্কা!

রাজ্যপালের সম্মতি না নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, ভয়াবহ বিবাদের আশঙ্কা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে শিক্ষা, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। যার ফলে পাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও, তাকে না জানিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যপালের অনুমোদন না নিয়ে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজভবনের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব পোষণ করা হতে পারে। যার ফলে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ আবার প্রকাশ্যে আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষের দিন ছিল সুরঞ্জন দাসের। কিন্তু আরও দুই বছর যাতে তিনি দায়িত্ব সামলান, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, এর আগে রাজ্যপাল তথা আচার্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল বা রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি।

যার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ শেষের দিনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের আরও দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিন রাজ্য সরকার। তবে আচার্য হিসেবে তার সম্মতি না নিয়েই এই ধরনের উদ্যোগ কেন নেওয়া হল, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, এইভাবে আচার্যের অনুমোদন না নিয়েই কেন নির্দেশিকা জারি করা হল? তাহলে যদি রাজ্যপাল এখন পাল্টা এই ব্যাপারে নিজের যুক্তি খাড়া করে, তাহলে তো সরকার অনেকটাই চাপে পড়ে যাবে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিতে হয়। কিন্তু রাজ্যপাল সেই সিলমোহর না দেওয়াতেই সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ সেদিক থেকে রাজ্যপাল এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুললেও, সরকার তাতে কর্ণপাত না করে নিজেদের সিদ্ধান্তে বহাল থাকতে পারে।

তবে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ যে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আসবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সরকারের পক্ষ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!