এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালকে ‌দিয়ে মমতার বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল শুভেন্দুর, নয়া কমিশন গঠন ঘিরে জল্পনা!

রাজ্যপালকে ‌দিয়ে মমতার বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল শুভেন্দুর, নয়া কমিশন গঠন ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এমনিতেই রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জাগদীপ ধনকারকে। আর এঅদিকে রাজ্যপাল আর অন্যদিকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সব থেকে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতীর্থ এই শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন বিষয়ে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিরাপত্তা কমিশন গঠন করার আবেদন জানিয়ে রাজ্যপালের একটি চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যার উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দেওয়া বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন হঠাৎ করে এই দাবি করলেন শুভেন্দুবাবু! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বস্তুত, বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা কমিশন গঠনের আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলা বাহুল্য, 2006 সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্যকে নিরাপত্তা কমিশন গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মূলত এই কমিশনের কাজ হল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ঠিকমত চলছে কিনা, সেই দিকে নজর রাখা। অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদলের অঙ্গুলিহেলন ছাড়াও একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে চালানোর জন্য এই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আর সেই কমিশনের সদস্য হিসেবে রাখার কথা বলা হয়েছিল প্রতিটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো কমিশন গঠন হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কাছে সেই কমিশন গঠনের আবেদন জানিয়ে শোরগোল তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই কমিশন গঠন করে বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই কমিশনের সদস্য হওয়ার দাবি তুলেছেন। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ প্রশাসন চলছে বলে দাবি করা হলেও, এই কমিশন গঠনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সরকারের ওপর কৌশলের চাপ সৃষ্টি করার জন্য রাজ্যপালের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর এই আবেদন বলে মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীতে কোনো বিরোধী দলনেতাকে এমন কোনো দাবি তুলতে দেখা যায়নি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী 2006 সালের মামলার কথা তুলে ধরে যেভাবে রাজ্যপালের কাছে এই কমিশন গঠনের দাবি জানালেন, তা কার্যত নজিরবিহীন। অর্থাৎ তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে তিনি যেমন আইনের দিকটি তুলে ধরে রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে চালানো যায়, তার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়ে তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলে দিলেন, ঠিক তেমনই শাসক দলকে আরও বেশি করে চাপে রাখবার জন্য রাজ্যপালের হাতেও নয়া অস্ত্র তুলে দিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যপালের কাছে এই কমিশন গঠনের আবেদন জানালেও, রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই ব্যাপারে কতটা সম্মতি দেবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে একদিকে বিরোধী দলনেতা এবং অন্যদিকে রাজ্যপাল এই কমিশন গঠন করে যে ঘাসফুল শিবিরকে চাপে রাখতে সবরকম চেষ্টা চালাবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!