এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালকে তৃণমূলের কুরুচিকর আক্রমন অব্যাহত! সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি

রাজ্যপালকে তৃণমূলের কুরুচিকর আক্রমন অব্যাহত! সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাগদীপ ধনকার। আর তৃতীয় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনের শপথ গ্রহণ করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শপথগ্রহণ করার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন ত্যাগ করতে না করতেই সুর বদলাতে শুরু করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যের একের পর এক হিংসার ঘটনা নিয়ে সরব হন তিনি। বর্তমানে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। একের পর এক হিংসার ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে সরকারকে বারবার সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

কোচবিহার থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম সফরের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাংবিধানিক প্রধান। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণ করা হচ্ছে রাজ্যপালকে। কখনও বা পদত্যাগ করার বার্তা, আবার কখনও বা রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন বলে দাবি করছেন তৃণমূলের একের পর এক নেতা-নেত্রীরা।

তবে এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এগিয়ে রাজ্য সরকারকে যে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল, তাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমত শংকিত ওয়াকিবহাল মহল। আর রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা এবং একের পর এক কড়া মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, হয়ত বা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এবার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট দিতে পারেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। যা রাজ্যের বর্তমান সরকারের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহারের পর শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায় তাকে। আর তারপরই লাগাতার যেভাবে রাজ্যে হিংসা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য করবেন না বলে রীতিমত রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে দেখা যায় সাংবিধানিক প্রধানকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “রাষ্ট্রীয় মদতে হিংসা বন্ধ হোক। সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না। ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ ঘরছাড়া। শীতলকুচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা দেখা গিয়েছে। নন্দীগ্রামে অত্যাচারিতদের জন্য কি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! দয়া করে ঘুমিয়ে থাকবেন না।” আর এখানেই প্রশ্ন সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগ করার কথা বলে ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে রাজ্যপাল একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাতে সরকারের অস্বস্তি বাড়ছে। রাজ্যে ক্রমাগত হিংসার ঘটনা আইন-শৃঙ্খলাকে কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্য পরিদর্শনে আসা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সদ্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে।

তবে রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক জেলা পরিদর্শন করছেন, তা তৃণমূলের পক্ষ থেকেও খুব একটা ভালো চোখে নেওয়া হচ্ছে না। লাগাতার রাজ্যপালকে একের পর এক আক্রমণের মধ্য দিয়ে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে “সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য করবেন না” বলে রাজ্যপাল যে মন্তব্য করলেন, তাতে বড় কোনো ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে।

যদি এভাবেই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে রাজ্যপাল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতিকে। আর যদি সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন বলে মনে করেন, তাহলে রাজ্যপালের সুপারিশ নিয়ে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। “সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য করবেন না” বলে রাজ্যপালের মন্তব্যের পর এমন আশঙ্কাই তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!