এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর রহস্য মামলায় বেশ চাপে পড়ল রাজ্য সরকার

রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর রহস্য মামলায় বেশ চাপে পড়ল রাজ্য সরকার


এবারে পঞ্চায়েত ভোট করাতে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজ্য সরকার একে আত্মহত্যার নাম দিলেও এটা আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল ছিল গতকাল। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু জানা গেছে সেই রিপোর্ট নিয়ে কিন্তু এতটুকু সন্তুষ্ট বোধ করেননি বিচারপতি তপন চক্রবর্তী। আগামী বুধবার এই মামলার ফের শুনানির দিন স্থির করেছেন তিনি।

গতকাল মামলার শুনানির শুরুতেই মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন যে এটা কিন্তু আত্মহত্যা নয়। তার স্বপক্ষে তিনি জানান যে ভোটের দিন ভোটে রিগিং চলছিল রাজকুমার তার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই তাঁকে অপহরণ করা হয় এবং পরেরদিন রেল লাইনের ধার থেকে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। সাথে তিনি দাবি করেন সেটা ভালো করে ভিডিও করা হয়নি। তাই বিকাশবাবু এ দিন ফের দাবি তোলেন যে আর একবার ময়নাতদন্ত করা হোক। কেননা ডাক্তারি রিপোর্টে দেখা গেছে তার মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

যদিও সরকারি পক্ষের আইনজীবী এই সমস্ত দাবিকে নস্যাৎ করে জানান যে কোনো খুন নয়। এটা একটা ট্রেন এক্সিডেন্ট ছিল। কেননা ট্রেনের ড্রাইভার জানিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশকে যে একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। এর পর বিচারপতি রাজকুমার রায়ের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে বিকাশবাবু সেখানেও দাবি করেন যে বর্তমানে রাজকুমারবাবুর স্ত্রীকে রাজ্য সরকারি চাকরি দিয়েছেন কিন্তু যদি তিনি আত্মহত্যা করে থাকেন তবে রাজ্য সরকার কেন তড়িঘড়ি করে রাজকুমার বাবুর স্ত্রীকে চাকরি দিলেন। আত্মহত্যা করলে কি দিতেন ?

এর পর বিচারপতি জানান যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী শরীরের অন্য কোন অংশে আঘাতের চিহ্ন না পাওয়া গেলেও মুখে শুধু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ট্রেন দুর্ঘটনা হলে এটা কি করে সম্ভব হয়? তিনি জানিয়ে দেন আগামী বুধবার শুনানির দিন ফের ধার্য করা হলো। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা এই নিয়ে বেশ চাপে পড়লো রাজ্য সরকার। কেননা রাজ্য সরকার বরাবরই দাবি করে আসছিল যে রাজকুমার রায়কে কেউ খুন করেনি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও মামলাকারী তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে রাজকুমার বাবুকে হত্যা করা হয়েছে। এদিন মামলাকারীর আইনজীবীর দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে বিচারপতিও একই প্রশ্ন তোলেন আদালতে। ফলে সংশ্লিষ্ট ধারণা যদি বিচারপতি মামলাকারী দাবিকে যদি অন্ত্যতা দেন তাহলে বেশ চাপে সরকার পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!