এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজনীতি থেকে কেন এভাবে হঠাৎ আলবিদা বাবুল সুপ্রিয়র? জেনে নিন বিশ্লেষকদের বক্তব্য

রাজনীতি থেকে কেন এভাবে হঠাৎ আলবিদা বাবুল সুপ্রিয়র? জেনে নিন বিশ্লেষকদের বক্তব্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শনিবার বিকেলে হঠাৎ রাজনীতিকে আলবিদা জানালেন বাবুল সুপ্রিয়। ধূমকেতুর মতো যেমন তিনি এসেছিলেন রাজনীতি জগতে, তেমনি ধূমকেতুর মতো বিদায় তাঁর। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে নাটকীয় ভাবে রাজনীতি জগতে তাঁর আগমন। সাফল্যও এসেছিল বাবুল সুপ্রিয়র। ২০১৯ সালেও সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে পেরেছিলেন। তবে, তালভঙ্গ ঘটে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত করা হয় তাঁকে। আর গতকাল রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকেই বিদায় গ্রহণ করলেন তিনি। কেন এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন

অনেকে বলছেন, গানের জগতে দীর্ঘ সংগ্রাম করে উঠে আসতে হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু রাজনৈতিক জগতে তেমনটা করতে হয়নি। সেখানে দ্রুত উত্থান ঘটেছিল তাঁর। তাই এবার প্রথমে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়, তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ, মেনে নিতে পারেননি তিনি। অনেকে মনে করছেন, বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার কারণে অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে বাবুল সুপ্রিয়র। মন্ত্রীত্ব চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও চলে গেলেন। তবে, মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়া হয়তো তাঁর এই পদক্ষেপের অন্যতম কারণ হতে পারে, কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ, তা কখনই বলা যায়না।

অনেকে মনে করছেন, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেকে দলের মধ্যে যে প্রবল অন্তর্কলহ চলছে, তা ভালো চোখে দেখছেন না বাবুল সুপ্রিয়। দলের দ্বন্দ্বের কথা ফেসবুকে লিখেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে থেকেই কিছু কিছু ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হয়েছিল। নেতাদের মতানৈক্যের কারণে দলের ক্ষতি হচ্ছিল গ্রাউন্ড জিরোতে। যা দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে যে সাহায্য করছিল না, তা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানের মতে জ্ঞানের দরকার হয় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, গত ২১ সে জুলাই দিল্লিতে গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিতে বিজেপির প্রায় সমস্ত সাংসদদের দেখা গেলেও বাবুল সুপ্রিয়কে দেখা যায়নি। দলের সঙ্গে বেশ কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না বাবুল সুপ্রিয়র। অনেকে জানাচ্ছেন, ভোটের আগে-পরে বাবুল সুপ্রিয়র কোন কথাকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে শোনেনি দল। বেশকিছু বৈঠক ডাকা হয়নি তাঁকে। তবে,
দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠরা এই দাবি মেনে নেননি।

এ প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে, নিজের মর্জি মাফিক চলতেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্য সভাপতির নির্দেশকে তোয়াক্কা করতেন না তিনি। তাঁকে উন্নাসিক বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেয়ার বিরোধী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল তাঁদের। কিন্তু তাঁর মতামতকে সে ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়নি।

আবার, অনেকেই এটাও বলছেন যে, আসানসোল কেন্দ্র থেকেই লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। টালিগঞ্জ থেকে লড়াই করার তেমন একটা ইচ্ছা ছিল না। পরিবর্তে উত্তর কলকাতার কোন আসন থেকে লড়াই করতেও ইচ্ছুক ছিলেন তিনি। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র। তাঁর পরামর্শ মতই এ কাজ করেছেন কিনা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ, একাধিক কারণেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বিদায় ঘোষণা করেছেন রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!