এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > রাজনীতির মঞ্চ থেকে বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফার ঘোষণা করতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই গ্রামবাসীরা

রাজনীতির মঞ্চ থেকে বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফার ঘোষণা করতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই গ্রামবাসীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার বিকেলে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবার ঘোষণা করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দল, সাংসদ পদ সমস্ত কিছু ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আবার, পশ্চিম বর্ধমানের একটি গ্রাম তিনি দত্তক নিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪০০ পরিবার বাস করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে থাকার সুবাদে গ্রামে উন্নতির কাজ শুরু করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এবার এই গ্রামের কী হবে? তা নিয়ে সংশয় গ্রামবাসীদের। সংকিত গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

গত ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জয়লাভ করার পর পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরের সিদাবাড়ি গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রায় ৪০০ টি পরিবার এই গ্রামে বাস করে থাকেন। কর্মসংস্থান সহ একাধিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অনেক প্রকল্প চালু করেছিলেন। একাধিকবার গ্রামে এসেছিলেন তিনি, প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে কিনা? সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে। এবার তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। ফলে গ্রামবাসীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। এই গ্রামের জনৈক বৃদ্ধ বাসিন্দা প্রেম মন্ডল জানালেন যে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি কি পদক্ষেপ নেবেন? তা বাবুল সুপ্রিয়র বিষয়। তবে, তাঁকে তারা বলতে চান যে, কভি আলবিদা না কেহেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দত্তক নেবার পর এখানে ড্রেন, রাস্তা, পানীয় জলের ব্যবস্থা শুরু করেছিলেন তিনি। কর্মসংস্থানের দাবি মেনে একাধিক প্রকল্পের সূত্রপাতও করেছিলেন। যেমন- বরাকর নদীতে খাঁচা বসিয়ে মাছ চাষ করা, পতিত জমিতে ফল চাষ করা, মহিলাদের জন্য পাটের সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি। ২০১৫ সাল থেকে মাছ চাষ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর কাজও শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে মাছ চাষ সমবায় সমিতির কর্ণধার তীর্থ সেন গতকাল জানিয়েছেন যে, বাবুল সুপ্রিয়র সহযোগিতায় অর্থের মুখ দেখেছেন তাঁরা। কয়েক বছর আগে ঝরে মাছের খাচা ভেঙ্গে গেলে তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি যদি সাংসদ পদ ছেড়ে দেন, তাহলে হয়তো আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।

গ্রামের জনৈক যুবক অসিত রুজ জানিয়েছেন যে, ফল ও সবজি চাষের তোড়জোড় হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জনৈক গ্রামবাসী মেনকা টুডু জানিয়েছেন, এসব আর চলবে কিনা? তিনি জানেন না। তবে, এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আরমান, যিনি জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য তিনি জানিয়েছেন, এই গ্রামটি দত্তক দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে, বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন পাশে থেকেছে। তাই এলাকাবাসী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন না। আবার, এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা আহ্বায়ক শিবরাম বর্মন জানিয়েছেন যে, দলীয় স্তরে বাবুল সুপ্রিয়র পদক্ষেপের বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানেন না। তবে, তাঁর দত্তক নেয়া গ্রামে উন্নয়ন চলছে।

বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, বাবুল সুপ্রিয়কে বোঝাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি যাতে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এজন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা হয়ে থাকতে পারে তাঁর। তিনি যাতে সাংসদ পদ ছেড়ে না দেন, সেজন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। বোঝানো হয়েছে, মন্ত্রিত্ব না থাকলেই রাজনীতির সব শেষ হয়ে যায়না। সংগঠনের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাঁকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!