এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজনীতির শিকার নিরীহ নাবালিকা, বেধড়ক মারধরে কাঠগড়ায় তৃণমূল, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

রাজনীতির শিকার নিরীহ নাবালিকা, বেধড়ক মারধরে কাঠগড়ায় তৃণমূল, চাঞ্চল্য রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটপর্ব সম্পন্ন হতেই সারা রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার কথা তুলে ধরে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। বেছে বেছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর এই হামলা চলেছে বলেই এতদিন অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বিজেপি করার অপরাধে এক বিজেপি নেত্রী এবং তার এক নাবালিকা মেয়েকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এলাকায়। একাংশ বলছেন, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে দিকে দিকে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। কিন্তু এই নাবালিকার কি অপরাধ ছিল! সে তো রাজনীতির কিছু বোঝে না! কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে সেই নাবালিকা মেয়েকে মারধর করল, তাতে পশ্চিমবঙ্গে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে যে মহিলারা বিন্দুমাত্র নিরাপদ নন, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি বিরোধীদের।

জানা যায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার বোরডাঙি এলাকায় বিজেপির টাউন মহিলা সম্পাদিকা চন্দনা পাল রাজবংশী এবং তার মেয়ে কেয়া রাজবংশীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। যেখানে তাদের বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার দেবজানি দত্ত দের নেতৃত্বে এই বিজেপি নেত্রী এবং তার নাবালিকা মেয়ের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

আর তারপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী এবং তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে এখন রাজ্যজুড়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গারামপুরে আমাদের মহিলা সম্পাদিকা এবং তার মেয়েকে মারধর করেছে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর। রাজ্যজুড়ে জঘন্য কাজ চলছে। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের উচিত, এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা।” অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে শাসকদল।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বলেন, “গঙ্গারামপুরের ঘটনা দুটি পরিবারের মধ্যে বিবাদের ফলে হয়েছে। ভোটে হারার পর মানুষের মন পেতে বিজেপি যে কোনো ঘটনায় রাজনীতির রং লাগাতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই জাতীয় নারী এবং শিশু সুরক্ষা কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ভোটের পরে হিংসার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে। আর এবার গঙ্গারামপুরের ঘটনা বিজেপির হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিল।

যেখানে এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলে আরও বেশি করে ময়দানে নামতে পারে গেরুয়া শিবির। স্বভাবতই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই এই ঘটনাকে অস্বীকার করা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!