প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সহধর্মিনী তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেলেও, এখনও পর্যন্ত বিজেপিতে থেকেই দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করে চলেছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রতি সভা-সমিতিতে উপস্থিত থেকে বিজেপির যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলার মনীষীদের সম্মান জানাতে বিজেপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। তবে সেটা অরাজনৈতিক ব্যানারে।

এবার বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে “বিবেকের ডাক” কর্মসূচি থেকে রাজনীতি মুক্ত কিছু কর্মসূচি পালন করার বার্তা দিলেন সৌমিত্রবাবু। যেখানে সকল যুব সমাজকে আহ্বান জানাতে দেখা গেল তাকে। তবে অরাজনৈতিক ব্যানারে সৌমিত্র খাঁ এই কর্মসূচিতে সকালকে আহ্বান জানিয়ে পরোক্ষে নিজেদের যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিবেকের ডাক কর্মসূচিতে উপস্থিত হন সৌমিত্র খাঁ। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সৌমিত্রবাবু বলেন, “12 তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচি এই দিনে কোনো রাজনীতি থাকবে না। এই দিনটিতে শুধুমাত্র ওম যে সংস্কৃতি সেটা থাকবে। স্বামীজীর আদর্শ দীক্ষিত হয়ে আমরা সকলে মিলে স্বামীজীকে অনুসরণ করে সোনার বাংলা গড়তে চাই। তাই এখানে কোনোভাবে রাজনীতি নয়। পশ্চিমবঙ্গের সব যুবকদের আহবান করছি। আপনারা সকলে মিলে সব মনীষীদের গলায় মালা পড়ান।”

একাংশ বলছেন, প্রায়শই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে অবহিত নয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলতেও রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা মনীষীদের সম্মান জানিয়ে তৃণমূলের সেই অভিযোগ খন্ডন করতে চাইছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলস্বরুপ সৌমিত্র খাঁ এর এদিনের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশিষ্ট মহান মনীষীদের জন্মদিনে বিজেপি এখন চাইছে না কোনোভাবেই রাজনীতি করতে। কেননা তাদের এখন প্রধান টার্গেট সেই সমস্ত মনীষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তৃণমূলের অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরা। তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত নয়‌। আর সেই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়াই এখন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান উদ্দেশ্য।

সেদিক থেকে যুব সমাজকে আহ্বান করে 12 তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচি রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়ে যুবকদের সংগঠিত করার বার্তা দিলেন সৌমিত্রবাবু। আর তার এই বার্তার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে সোনার বাংলা গঠন করার যে কথা বলা হল, তা যে তৃণমূলকে চাপে রাখার অন্যতম প্রধান কৌশল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।