এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > রাজনৈতিক হিংসায় বড় ভূমিকা কাদের? জন্ম নিচ্ছে কি ফ্যাসীবাদী শক্তি?

রাজনৈতিক হিংসায় বড় ভূমিকা কাদের? জন্ম নিচ্ছে কি ফ্যাসীবাদী শক্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। আর সেই কথাটিই আজকে অনেকাংশেই প্রমাণিত পশ্চিমবঙ্গে। কথা হচ্ছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। বর্তমানে রাজ্যের প্রধান দুটি দল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি, যাদেরকে একে অপরের বিরোধী বললে সব থেকে ভালো বোঝা যায়। ভোট পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবির থেকে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে রাজ্যে তৃণমূল তাঁদের কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। অনেকেই ঘরছাড়া হয়েছেন, কারোর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি, ইত্যাদি। আবার উত্তরবঙ্গে দেখা গেছে বিজেপির হাতে তৃণমূল অত্যাচারিত, কারণ সেখানে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি।

এই সম্পূর্ণ ঘটনা নিয়ে অনেকেই দাবি করেছেন, ভোটের আগে যেভাবে বিজেপির রাজনৈতিক হর্তাকর্তাদের মুখ থেকে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য এসেছে, যার ফল পরবর্তীকালে হিংসার রাজনীতিকে কয়েকধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কথা তো বলেছেন রাজনৈতিক হর্তাকর্তারা, সাধারণ গরিব খেটে খাওয়া সর্মথকরা এ ব্যাপারে তো দায়ী নয়। তাহলে তাঁদের ওপর এই অত্যাচার কেন? এক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে, বাংলার নাগরিক সমাজ কিংবা বুদ্ধিজীবী মহল বা দলীয় রাজনীতির বাইরে গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলি অনেকটাই চুপ। অর্থাৎ বিজেপিকে এক্ষেত্রে ভিলেন তৈরি করা হয়েছে। আর হবে নাই বা কেন, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দেখা যাচ্ছে ঠিক এর বিপরীত চিত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে জায়গায় প্রতিহিংসা পালনের সামান্য সুযোগটুকু ছাড়তে রাজি নয় অনেকেই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা শুধুমাত্র বিজেপির ওপর নয়, অন্যান্য বিরোধী দলের ওপরেও হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু রাজনৈতিক হিংসার ফলাফল শুধুমাত্র গেরুয়া শিবিরের ওপর হয়েছে বলেই তুলে ধরা হচ্ছে যা সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপি ছাড়াও অন্যান্য দলগুলির ক্ষমতা এরাজ্যে প্রায় শূন্য। তাই তাঁরা আক্রান্ত হলেও সেভাবে প্রতিবাদে সরব হতে পারেনি, হইচই করতে পারেনি। আর এই নীরবতাই ভয়ের আবহ তৈরি করতে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যদি নাগরিক সমাজ সরব হয়ে উঠত, তাহলে ছবিটা হয়তো অন্যরকম হতো।

এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শাসক দলকে যদি ক্রমাগত উচ্চাসনে বসিয়ে আগলে রাখার মানসিকতা হয় তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী চিন্তাধারা সমাজের বুকে রোপনের হাত থেকে বাঁচা মুশকিল। তাই প্রয়োজন উচ্চস্বরে ভুলকে ভুলার ঠিককে ঠিক বলা। তবে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূলের ওপর ব্যাপকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে যে বিজেপি তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। হাইকোর্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিশন আজকে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করছে। এই অবস্থায় সুস্থ নাগরিক সমাজের এখন একটাই আবেদন বন্ধ হোক এই হিংসা।  সুস্থভাবে, সুস্থ মূল্যবোধের সাহায্যে তৈরি হোক সুস্থ রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!