এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজনৈতিক চমক দিতেই কি সর্বনাশ হয়ে গেল? ভ্যাক্সিনের আকাল এখনো কতদিন চলবে? সামনে এল বড় তথ্য

রাজনৈতিক চমক দিতেই কি সর্বনাশ হয়ে গেল? ভ্যাক্সিনের আকাল এখনো কতদিন চলবে? সামনে এল বড় তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশ জুড়ে তীব্র আকারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, এই অবস্থায় সকল দেশবাসীকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন পেতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে মানুষকে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছেনা ভ্যাকসিন। যা থেকে অনেক সময়ে শুরু হচ্ছে বিক্ষোভ। যতটা ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তার অভাব রয়েছে অনেকটাই। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কবে পাওয়া যাবে ভ্যাকসিন? এবার এ বিষয়ে বিশেষ আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া যে অত্যন্ত প্রয়োজন, সেকথা বারবার জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভ্যাকসিন নিয়েও যে করোনার হাত থেকে রেহাই মিলছে না। তার দৃষ্টান্তও যথেষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১ লা মে থেকে ১৮ বছর বা তার উর্ধের সকলকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। কিন্তু ঘোষণা সত্ত্বেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না বহু মানুষ। এবার এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জনৈক বিজ্ঞানী জানালেন, ১ লা মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার যে ঘোষণা কেন্দ্র করেছিল, তাতে রাজনীতির চমক থাকলেও বাস্তবতা তেমন নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ ভ্যাকসিনের ঘাটতির বিষয়টি পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার হয়ে উঠছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক চমক দেখাতে গিয়েই এই জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাউথইস্ট এশিয়া রিজিওনাল অফিসের কমিউনিকেবল ডিজিজ এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রাজেশ ভাটিয়া জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি প্রতিদিন দেশে ২৫ লক্ষ করে ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু ভ্যাকসিন এর চাহিদা তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো না যাবে, দেশীয় উপায়ে তৈরি অন্যান্য ভ্যাকসিন বাজারে না আসবে, অথবা ভ্যাকসিনের আমদানি না বাড়ানো হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শদাতা ও সেইসঙ্গে সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিকস ইকোনমিক্স পলিসির ডিরেক্টর রামানন লক্ষীনারায়ন এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, আরো দুমাস ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী জুলাই, আগস্ট মাসের আগে করোনা ভ্যাকসিন এর ঘাটতি মেটানো প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন তিনি। এই কয়েক মাসের মধ্যে আরও বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন ও বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে, আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। একাধিক গবেষক জানিয়েছেন, ১৮ বছরের উদ্ধে সকলকে যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে, তা অস্পষ্ট। কারণ চাহিদা ও যোগানের মধ্যে এক বিরাট ব্যবধান রয়েছে। আর এতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা। কবে ভ্যাকসিনের যোগান বাড়বে? সেদিকেই চেয়ে আছেন সাধারন মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!