এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজনৈতিক দেবশ্রীকে পুনর্বাসন বিজেপির? বাবুলকে নিয়ে আশঙ্কার মেঘ! চর্চায় পদ্ম শিবির!

রাজনৈতিক দেবশ্রীকে পুনর্বাসন বিজেপির? বাবুলকে নিয়ে আশঙ্কার মেঘ! চর্চায় পদ্ম শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2014 সালে সঙ্গীত জগত থেকে সরাসরি রাজনীতিতে নাম লেখান বাবুল সুপ্রিয়। আর তারপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। 2014 সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আসানসোল থেকে জয়লাভ করা বাবুল সুপ্রিয়কে সরাসরি নিজের মন্ত্রিসভায় নিয়ে নেন নরেন্দ্র মোদী। পরবর্তীতে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রিসভার সদস্য করার পাশাপাশি বাংলা থেকে এত আসন পাওয়ার জন্য দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকেও নিজের মন্ত্রিসভায় যুক্ত করেন নরেন্দ্র মোদী।

তবে দু’জনকেই অবশ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রতিমন্ত্রীদের তেমন কোনো কাজ নেই। কিন্তু বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্য থেকে যদি কেন্দ্রের শাসকদলের কোনো সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়, তাহলে সেই রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার যে কেন্দ্রের শাসক দলের প্রধান লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে, তা বলাই যায়। আর সেজন্যেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 18 জন সাংসদের মধ্যে 2 জন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এতে লাভের লাভ যে কিছুই হয়নি, তা বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির।

আর সেই কারণেই বুধবার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার দিনে আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয় এবং রায়গঞ্জের দেবশ্রী চৌধুরীর ডানা ছাটা হয়েছে। ইস্তফা দিতে হয়েছে এই দুই বিজেপি সাংসদকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা ক্ষেত্রগুলোতে দলকে ভালো ফল করাতে পারেননি এই দুই বিজেপি সাংসদ। আর সেই কারণেই তাদেরকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী শুধুমাত্র সাংসদ। তবে দেবশ্রীদেবীর ভাগ্যাকাশে কিছুটা হলেও সফলতা আগমনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুধুমাত্র সাংসদ থাকা ছাড়া আর তেমনভাবে কপাল নাও খুলতে পারে বাবুল সুপ্রিয়র।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মন্ত্রীসভা থেকে দেবশ্রীদেবীকে ইস্তফা দিতে বলার পর তাকে নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, পারিবারিক সূত্রে আরএসএসের রক্ত বইছে দেবশ্রীদেবীর শরীরে। তার পিতা দেবীদাস চৌধুরী বিজেপির একনিষ্ঠ সৈনিক। শুধু তাই নয়, দেবশ্রী চৌধুরী নিজেও সংঘের ছাত্রসংগঠন এবিভিপির রাজ্য সভানেত্রী ছিলেন। তাই তার সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বিজেপির পক্ষ থেকে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সংগঠনে দেবশ্রী চৌধুরীকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। শুধুমাত্র বিজেপির অন্দরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

তবে সেদিক থেকে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়তে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গীতজগত থেকে রাজনীতিতে নাম লেখানো বাবুল সুপ্রিয়কে অনেকটাই গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলোতে দলকে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেননি। তাই সেভাবে সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ না থাকা বাবুল সুপ্রিয়কে মন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার তিনি শুধু সাংসদ ছাড়া আর তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসীন হতে পারবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, নিজেদের ভুলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে হল বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে। তারা অনেকটাই সুযোগ পেয়েছিলেন, বাংলায় আধিপত্য বিস্তার করার। এক্ষেত্রে বাংলার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যই তাদেরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে বাংলার মাটি শক্ত করতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় নারী এবং শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল দেবশ্রী চৌধুরীকে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতি সময়ে অভিযোগ করা হয়, বাংলায় নারী এবং শিশুরা নিরাপদ নয়। সেক্ষেত্রে এই দপ্তরের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী হয়ে বাংলার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই পারতেন দেবশ্রীদেবী। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আন্দোলন করে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া তো দূরের কথা, নিজের লোকসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জেও তিনি “নিখোঁজ” বলে কটাক্ষ করতে শুরু করে বিরোধীরা।

তবে অতীতের আরএসএস ভাবধারায় দীক্ষিত হওয়া থেকে শুরু করে সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারণে দেবশ্রীদেবীর ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা দিতে পারে। কিন্তু কি করবেন বাবুল সুপ্রিয়? মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এখন শুধুমাত্র সাংসদ পদ রয়েছে তার। সেভাবে সংগঠনের কোনো জায়গায় নেই তিনি। আর ভবিষ্যতেও যে তিনি সাংগঠনিক কোনো জায়গা পাবেন, এই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউই। তাই দেবশ্রী চৌধুরীর পুনর্বাসন নিয়ে একাংশের মধ্যে আশা তৈরি হলেও, বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে কার্যত হতাশ তার ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। সব মিলিয়ে দুই হেভিওয়েট সাংসদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!