এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজনৈতিক হাতেখড়ি থেকে শুরু করে আজকের শুভেন্দু অধিকারী, একনজরে দেখে নিন রাজনৈতিক যাত্রাপথ

রাজনৈতিক হাতেখড়ি থেকে শুরু করে আজকের শুভেন্দু অধিকারী, একনজরে দেখে নিন রাজনৈতিক যাত্রাপথ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি, রাজ্য রাজনীতির আলোচনার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে, তিনি যে শুধু রাজ্যেই যে পরিচিত তা নয়, দিল্লির বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতার মুখেও শুভেন্দু অধিকারীর কথা বারবার শোনা যাচ্ছে। বলা হয়, শাসকদল তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই জনপ্রিয়তা আছে শুভেন্দু অধিকারীর। বর্তমানে পঞ্চাশের কোঠায় তাঁর বয়স, তিনি অকৃতদার। তার ধ্যান-জ্ঞান একমাত্র রাজনীতি, তার কথাবার্তায় এখনো মেঠো ছাপ আছে, জীবনধারণ অত্যন্ত সাধারণ।

রাজ্য রাজনীতির এই জনপ্রিয় নেতার রাজনৈতিক জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হল নন্দীগ্রাম আন্দোলন। এই আন্দোলনের পরেই তিনি হয়ে ওঠেন রাজ্য রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। আবার, এই নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকেই উত্থান ঘটেছিল শাসক দল তৃণমূলের। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিন দশক ধরে অধিকারী পরিবারের একছত্র প্রভাব আছে রাজনীতিতে। নন্দীগ্রামে তেমনি আছে শুভেন্দু অধিকারীর একাধিপত্য।

কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে যোগদান করে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন তাঁর। তবে, মূলত রাজনীতির অঙ্গনে পদার্পণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী আটের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদে যোগদান করে। এরপর ১৯৯৫ সালে কাঁথি পৌরসভার ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এরপর ২০০১ সালে মুগবেরিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে সময় তিনি সফলতা পান নি। সে সময়কার মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তমলুক থেকে দাঁড়ান তিনি। সেবারও তিনি সিপিএম প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৬ সালে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্র তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিলেন তার বাবা শিশির অধিকারী।এগরায় প্রার্থী হন তিনি। সেবার উভয়েই জয়লাভ করেছিলেন। এরপর, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারীকে বিরাট ব্যাপ্তি এনে দেয়। রাজ্যজুড়ে পরিচিত হলেন তিনি।

এরপর, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য কোন জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে গেল। যা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদও সেবারে তৃণমূলের দখলে যায়। সেখানে ভোটের প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর গত ২০০৮ সালে মদন মিত্রকে অপসারিত করে শুভেন্দু অধিকারীকে যুব তৃণমূল সভাপতি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তমলুকে লক্ষ্মণ শেঠকে পরাজিত করে প্রথমবার সাংসদ হন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে ২০০৬ সালে তিনি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি তমলুক কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সে সময় তাঁকে যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সৌমিত্র খাঁকে সে পদে বসানো হয়েছিল। সেসময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুবা নাম একটি সংগঠন তৈরি হয়। যাকে কেন্দ্র শুভেন্দু অধিকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী করেছেন।

এরপর, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল ভালো ফল করতে না পারায় জেলার পর্যবেক্ষক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাঁকে। এরপর ২০২০ সালের আগস্ট মাসে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের দায়িত্ব থেকে শুভেন্দু থেকে অপসারিত করা হয়। আবার দলের পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেবার পর একাধিক জেলার ক্ষমতা চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে। এরপর থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে গত শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তিনি কি করতে চলেছেন আগামী দিনে? তা একমাত্র তিনিই জানেন।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!