এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘ভবানীপুর আমি দেখে নেব, আপনারা যাদবপুর সামলান।’ বিধানসভায় মুখোমখি তরজায় বাম – তৃণমূল

‘ভবানীপুর আমি দেখে নেব, আপনারা যাদবপুর সামলান।’ বিধানসভায় মুখোমখি তরজায় বাম – তৃণমূল


এদিন বিধানসভায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয় তৃণমূল বনাম বাম শিবিরের মধ্যে। রীতিমত কড়াভাষায় এদিন আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম শিবিরকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নির্দ্বিধায় বলেন বাংলায় রাজনৈতিক দূষণ ছড়াচ্ছে বাম শিবির। এদিন একাধিক ইস্যুতে বাম শিবির মুখ্যমন্ত্রীকে ও তৃণমূল শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিধানসভায়। যার মধ্যে সম্প্রতি ঐশি ঘোষকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাটিকে মুখ্য করে দেখা হয় বাম শিবির থেকে। তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ করার সাথে সাথেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা দেন বাম শিবিরকে।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পর্যুদস্ত হবার পর বাম শিবিরের অবনতির সেই শুরু। লোকসভা থেকে রাজ্যের একাধিক বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কিন্তু বামেরা আর কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। 36 বছরের শাসনকাল তাদের এভাবেই শেষ হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই ও সিপিএম সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছে বলে জানা গেছে। এই নিয়েই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম শিবিরের দিকে তুমুল আক্রমণ করে বলেন, ‘ভবানীপুর নিয়ে আমি দেখে নেব, আপনারা আগে যাদবপুর সামলান।’

এদিন বিধানসভায় বাম শিবির অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল শিবিরের দিকে। রাজ্যে ঘটে চলা একাধিক রাজনৈতিক হত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক রীতিমতো কটাক্ষ করে বাম শিবিরকে বলেন, ‘সবাই সবার মতো রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে অপপ্রচার করেছেন। রাজনৈতিক দূষণ তাদের মধ্যে এত গ্রাস করেছে তারা সব ভুলে গিয়েছে। আমার দলের ফলাফল নিয়ে বামেদের ভাবতে বলিনি। যাদবপুরে কী হয়েছে? আগে নিজেদের চরকায় তেল দিন।’ অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বললেন, ‘রাজ্যে বাম আমলে শেষ দশ বছরে ৬৩৬ জন খুন হয়েছেন কিন্তু এই রাজ্য সরকারের আমলে মাত্র ১৫৪ জন খুন হয়েছেন। এটাও আমরা চাই না। আমরা চাই না কোন দলই খুন নিয়ে রাজনীতি করুক।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উন্নয়নের ভেলায় ভর করে হেলায় জিতে নিয়েছেন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও উন্নয়নের হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে জিততে হলে অনেক কাজ করতে হয়। বছরের পর বছর বামেরা জিতেছে কিন্তু কোনও কাজ করেনি। এবারে তারা আবার বড় লাড্ডু পাবে। বামেরা সবাই সাধু। ১৯৮০ সাল থেকে চিটফান্ড চলছে। বোঝাপড়া না থাকলে কী আর হয়, তাদের কেউ গ্রেপ্তার হয় না।’

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে সম্প্রতি হয়ে গেছে বাম কংগ্রেসের যৌথ বনধ। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী আগেই। এদিন তিনি আবারও বলেন, ‘কেন সরস্বতী পুজোর দিন বনধ করেছিলেন? বছরে দুটো করে বনধ না করলে হয় না? কংগ্রেস সিপিএমের ডান হাত। যেখানে আঞ্চলিক দল আছে সেখানে কংগ্রেস হেরে যাচ্ছে।’ প্রসঙ্গত এ ব্যাপারে তিনি দিল্লিতে কংগ্রেসের শূন্য আসন পাওয়াকেই খোঁচা মেরেছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

সাম্প্রতিককালে একের পর এক জনসভায় একদা তার প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএমের বদলে বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করতে শোনা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এবারে আর শুধু রামরুপী বিজেপি নয়, এবার রামের পাশাপাশি বামেদেরও তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এদিনের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বাম শিবিরকে আক্রমণের ধরন দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত মুখ্যমন্ত্রী যেন 2011 সালের আগের রূপ ধরে বামেদেরকে আক্রমণ করলেন। আপাতত রাজ্যের সামনে পুরনির্বাচন। আর সেদিকেই মনোনিবেশ করছে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!