এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজনৈতিক হিংসার বলি তৃণমূল কর্মী, অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে

রাজনৈতিক হিংসার বলি তৃণমূল কর্মী, অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে তীব্র রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। গেরুয়া শিবির দাবি করছে, জিতে গিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। একইভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছে, তাঁদের ওপর বিজেপির আক্রমণের।

আর সেই অভিযোগের সত্যতা এবার দেখা গেল হুগলি জেলার তারকেশ্বরের চৌতারা এলাকার একটি ঘটনায়। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যজুড়ে যে হিংসাত্মক ঘটনা সামনে আসছে তারই সূত্র ধরে এবার তারকেশ্বরে তৃণমূল শিবিরের এক কর্মীকে খুন হলেন। জখম হয়েছেন আরও 4 তৃণমূল কর্মী।

নিহত ও জখম তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হিংস্র কার্যকলাপ করে চলেছে এলাকাজুড়ে। এবং তাঁরাই তৃণমূল কর্মী খুন করেছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বরের চৌতারা এলাকার বিজেপি কর্মীদের বসে আড্ডা মারার একটি মাচায় সোমবার রাতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী গোপাল পাত্র সহ আরো বেশ কয়েকজন চৌতারা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেধড়ক মারে তৃণমূল কর্মী গোপাল পাত্র ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেককেই প্রথমে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় আহতদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে দেখতে যান হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি এলাকায় খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।

এই ঘটনায় তারকেশ্বর থানায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল নেত্রী কিন্তু সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু ক্রমাগত রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। পরিস্থিতি সামলাতে আগামীকাল শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!