এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে উদ্বিগ্ন বিজেপি সাংসদ, দেখা করলেন প্রশাসনের সাথে

রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে উদ্বিগ্ন বিজেপি সাংসদ, দেখা করলেন প্রশাসনের সাথে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট পূর্ববর্তী সময় থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এই সংঘাত অন্য মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং এই সংঘাত মূলত তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই চলছে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় যেমন শাসক দলের কর্মীদের হাতে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে, ঠিক সেরকমই তৃণমূল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরাও বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে মূলত বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে আজকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

তাঁর দাবি, হুগলী জেলাতে বিজেপি কর্মীরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁরা ঘরছাড়া হচ্ছেন। বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে, মহিলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজনীতিতে হার-জিত থাকবেই। কিন্তু জিতে যাওয়ার মানে এই নয় যে মানুষকে ঘরছাড়া করা হবে। তাঁদের ওপর অত্যাচার চালানো হবে। বিরোধীশূন্য ভাবে চলতে পারেনা। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবী অনুযায়ী ধনিয়াখালি, আরামবাগসহ হুগলীর সর্বত্রই তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অবশ্য ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দেখা গেছে, হুগলী জেলাতে তিনজন তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে লকেট চ্যাটার্জি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, দলের কর্মীদের পাশে থাকার সময় এটা কিন্তু খুনখারাপি কখনোই বরদাশ্ত করা হবেনা। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পরেই ঘোষণা করেছেন, সমস্ত দলকেই সংযত থাকতে হবে। না হলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, পুরো রাজ্যের দায়িত্ব এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যেকোন দলের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে তাই বলে বিরোধীশূন্য করে দেওয়াটা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। অন্যদিকে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন, তার নির্দিষ্ট কোন তালিকা দেননি।

তবে হিংসা ঠেকাতে প্রশাসন সদা সর্বদা প্রস্তুত আছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন্তিত হয়ে রাজ্যপালের কাছে ফোন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় দল ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে, আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তবে যেকোনো রকম রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত রাজনৈতিক সংঘাত বন্ধ করার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!