এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে দলীয় নেতৃত্বের দিকেই অভিযোগের আঙুল, ব্যাপক চাপে বিজেপি!

রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে দলীয় নেতৃত্বের দিকেই অভিযোগের আঙুল, ব্যাপক চাপে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির নেতারা মন্তব্য করেছিলেন, এবারে যদি তারা ক্ষমতায় না আসতে পারেন, তাহলে তাদের বাঁচা কার্যত দায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই যেনতেন প্রকারেন এবারে দলকে ক্ষমতায় আনতেই হবে বলে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কিন্তু বিজেপির সেই স্বপ্ন কার্যত অধরা থেকে গিয়েছে। বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টে 200 আসনের টার্গেট নিয়ে লড়াই করা ভারতীয় জনতা পার্টি 77 টি আসন দখল করেই থমকে গিয়েছে। অন্যদিকে 213 টি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা মত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে। যার জেরে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিমুহূর্তে অভিযোগ করা হচ্ছে শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে 77 টি আসন পেয়ে দলবিরোধী আসন দখল করার পরেও যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের পাশে কেন দল থাকছে না, এখন সেটা নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির নীচুতলার মধ্যে।

আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই এবার বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেল নেতা কর্মীদের। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতৃত্বের ওপর কর্মীদের যথেষ্ট ক্ষোভ যে রয়েছে, সেই ব্যাপারটিই কার্যত প্রস্ফুটিত হয়ে উঠল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, রবিবার জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে গ্রামীণ হাওড়া বিজেপির কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই ব্যাপক ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন কর্মীদের একাংশ।

কেন জেলার নেতারা দুর্দিনে কর্মীদের পাশে থাকছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা গেছে বিজেপি কর্মীদের। তবে এরপরই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও, মুহূর্তের মধ্যে তার রনক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। আর এরপরই বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর শুরু করে দেন দলের কর্মীদের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে যায়।

একাংশ বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই বিজেপি নেতা কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছিলেন। আর তারপরেই হতাশার সুর শোনা গিয়েছিল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের গলায়। কর্মীদের যদি রক্ষা করতে না পারা যায়, তাহলে জনপ্রতিনিধি থেকে লাভ কি, সেই ব্যাপারে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে এই ব্যাপারে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

তবে এবার গোটা ঘটনায় জেলা নেতৃত্ব নীচুতলার কর্মীদের পাশে না থাকার কারণে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের। যার জেরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেমন প্রকাশ্যে চলে এলো, ঠিক তেমনই দল ক্ষমতা দখল করতে না পারার পর এই কার্যত নিজেদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে গুটিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গেল একাংশকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অনুপম মল্লিক বলেন, “ক্ষোভ থাকতেই পারে। তার মানেই ভাঙচুর করতে হবে, এমন নয়। সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা এই ঝামেলা করেছে। এর পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। ওরা আমাদের অফিস দখল করতে চাইছে “। যদিও বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ তৃনমূলের সভাপতি পুলক রায় বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে, তা বিজেপির দলীয় ব্যাপার। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি বর্তমানে যদি তারা সংগঠনে নজর না দেয়, তাহলে তাদের আরও চাপের মুখে পড়তে হতে পারে‌। একদিকে কর্মীদের ক্ষো, অন্যদিকে ভাঙ্গন রীতিমতো বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর এখন জেরবার হয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাই সংগঠনকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি নীচুতলার নেতা-কর্মীদের রক্ষা করতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, হাওড়া জেলায় কর্মীদের পাশে না থাকার জন্য বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ এবং পার্টি অফিস ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!