এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজকীয় জয়ের আত্মবিশ্বাস! বিরোধীদের একছাতার তলায় এনে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চান মমতার মহামন্ত্রী

রাজকীয় জয়ের আত্মবিশ্বাস! বিরোধীদের একছাতার তলায় এনে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চান মমতার মহামন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রথম এবং দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে যে সমস্ত জায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সরকার নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ উঠতে দেখা যেত। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের কোনো মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে তৃতীয় বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের বেশ কিছু দিকের পরিবর্তন সামনে আসতে শুরু করেছে।

অতীতে যে কোনো নির্বাচনে জয়লাভের পরই প্রতিপক্ষ শিবিরকে আরও কোণঠাসা করতে উদ্যত হতে দেখা যেত ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু এবার নির্বাচনের পরেও নমনীয় হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট সেলিব্রিটি জনপ্রতিনিধিদের। বর্তমানে নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ পঞ্চম বারের জন্য বেহালা পশ্চিম এর বিধায়ক হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর বিধায়ক হয়ে রাজ্যের শিল্প দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

এদিকে মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে না পেতেই নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ বিজেপির শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং সংযুক্ত মোর্চার নীহার ভক্তের কাছে এলাকার উন্নয়নের জন্য আলোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যে ঘটনাকে কার্যত নজিরবিহীন বলেই দেখছেন একাংশ। নির্বাচনে লড়াইয়ের পর প্রতিপক্ষ হেরে গেলে তাকে আর গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ উঠত।

কিন্তু এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট মন্ত্রী জয়লাভ করার পরেও যেভাবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াই হওয়া বিজেপি এবং সিপিএমের দুই পরাজিত প্রার্থীর মতামত চেয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কথা বললেন, তাতে এমন জনপ্রতিনিধিই প্রয়োজন বলে দাবি করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেহালা পশ্চিমের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন। তারপর তিনি ফোনালাপ করেন সংযুক্ত মোর্চার পরাজিত প্রার্থী নীহার ভক্তের সঙ্গে। জানা গেছে, এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই বিরোধী নেতা-নেত্রী যাতে সহযোগিতা করেন, তার জন্য আবেদন করেছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী।

অনেকে বলছেন, বিশেষজ্ঞরা বলেন, “পরাজয় প্রত্যাখ্যানের বিষয়। কিন্তু যে বা যারা জয়ী হন, তাদের বেশ উদার এবং নমনীয় মনোভাবের হতে হয়। তাহলে সেই জয় কাজে দেয়।” হয়ত বিশেষজ্ঞদের সেই মতামতকে স্মরণ করেই তৃতীয়বার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রতিপক্ষ শিবিরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে কেউ জয়লাভ করেন, কেউ পরাজিত হয়। কিন্তু তার মানে এটা নয়, যিনি জয়লাভ করেছেন, তিনিই সব! নির্বাচনে কিছু ভোট পেয়েছেন বিজেপি এবং সিপিএমের প্রার্থীরাও। তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চাইছেন বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

হঠাৎ করে কেন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে তার ফোন গেল? এদিন এই প্রসঙ্গে বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন যাবতীয় রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে মানুষের কাজ করার সময়। আমি প্রথম থেকেই বেহালায় বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে এসেছি। এবারেও তাই করছি। ওনারা বিরোধী শিবিরের হয়ে ভোটের প্রচারে নেমে এলাকায় কোনো না কোনো সমস্যা হয়ত চোখে পড়েছে। তাই আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের মতামত জানতে চেয়েছি। দুজনেই সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এই নাটকটিতে বিরোধী সকল মানুষের মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে। যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিরোধীরা প্রতিমুহূর্তে অভিযোগ করে, সেখানে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর এই উদ্যোগ কার্যত মডেল হয়ে থাকল বলেই মনে করছেন একাংশ।

তবে জয়ের পর বিরোধীদলের পরাজিত প্রার্থী এবং নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে এলাকার কথা ভাবা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভবিষ্যতে এই মডেলকে কতটা অটুট রাখতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!