”রাজ্য বিজেপি অপদার্থ, তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের আনতে হচ্ছে।” বিস্ফোরক হেভিওয়েট সাংসদ কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোটের আগে বিজেপি বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়েছে বিভিন্ন নেতাকে। যারা বস্তুত বাইরের রাজ্যের বলেই জানা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুরের দায়িত্বে মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিনোদ সোনকার, উত্তরবঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতায় দিল্লির বাসিন্দা দুষ্মন্ত গৌতম ও নবদ্বীপের দায়িত্ব রয়েছে মুম্বইয়ের বাসিন্দা বিনোদ তাওড়ের হাতে। সেইসঙ্গে ২০২১-এর বিধানসভায় নির্বাচনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন অমিত মালব্য। এ ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে থাকবেন অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ। আর এখানেই বিজেপিকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। তাঁর কথায়, “বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপি অপদার্থ, তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের আনতে হচ্ছে।” তবে রাতারাতি এঁরা এসে কিছু করতে পারবেন না বলেই মনে করেছেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলাকে এঁরা চেনেন না। বাংলার মাটি সম্পর্কে এদের কোনও ধারণা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, বাংলার মানুষের কাছে এঁদের কোনও গুরুত্ব নেই বলেই মনে করছেন তিনি। কারণ তাঁর মতে, “বাংলার মাটি চিনতে গেলে বাংলারই নেতা হওয়া দরকার।” তাঁর মতে, নির্বাচনে প্রচুর টাকা খরচ করে বিজেপি যদি ভাবে এঁদের দিয়ে বাংলা দখল করা যাবে, তবে কাজটা এত সহজ হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলার যে উন্নয়ন করে চলেছেন, তা বিজেপি নেতারা জানেন না বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বাংলার ব্লক থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত তৃণমূলের সংগঠন মজবুত, ঐক্যবদ্ধ বলেই তাঁর ধারণা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গ্রামের লোকেদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের সঙ্গে গ্রামবাংলার সেতুবন্ধন করেছেন বলেও জানান তিনি। তাই বাংলা দখল করা বিজেপি-র স্বপ্নই থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের ব্যাপারে যে অভিযোগ করেছেন যে, বাংলায় বোমা-বারুদের কারখানায় ভরে গেছে, তারও প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে তাঁকে। সেইসঙ্গে, আগে দিলীপ ঘোষ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে যে তৃণমূলের কাটমানি খাওয়ার কথা বলেছিলেন, সেখানে প্রতিবাদ করে সৌগত রায় এদিন বলেন, “তিনি নিশ্চয়ই জানেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন কেন্দ্রের হাতে। রাজ্যের হাতে কিছু নেই। তবুও মুখ্যমন্ত্রী এনফোর্সমেন্ট বিভাগের লোকেদের নামিয়ে বাজারে বাজারে অভিযান করাচ্ছেন।” তাঁর কথায়, “দিলীপবাবুরা বড় বড় বক্তৃতা দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার মজুতদার ও কালোবাজারীদের সাহায্য করছে। আলু এখন হিমঘরে। মালিকেরা সহযোগিতা করছেন না।” ফলত তৃণমূল সম্পর্কে বিজেপি নেতারা অবান্তর কথা বলছেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দিলীপবাবু বরাবরই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন। আলটপকা কথা বলেন। তিনি এই ধরনের মন্তব্য করে সুনাম অর্জন করেছেন। দিলীপবাবু জেনে রাখুন, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় আইনশৃঙ্খলা সবচেয়ে ভাল। এখানে বাহুবলীরা পুলিশকে খুন করে না।” সেইসঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। এদিন সৌগত রায় বলেন, “বাংলায় নিরাপত্তা নেই, রাজ্যপাল এই মন্তব্য করে আবার সংবিধানের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।” সেইসঙ্গে তিনি যাতে নিজের পদের মর্যাদা রাখেন, সেই কথাও বলতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “নুরুল হাসান, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো রাজ্যপাল আমরা দেখেছি। জগদীপ ধনকড়ের মতো রাজ্যপাল বাংলায় আসেননি। অনেকবার বলেছি, তিনি বিজেপি নেতার মতো কথা বলছেন। রাজভবনকে বিজেপি অফিস তৈরি করেছেন।” আর এ সব রাজ্যপালের কাজ কিনা সেই প্রশ্নই করতে দেখা গেছে তাঁকে। আপনার মতামত জানান -