এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য বিজেপির ঘরে নারদ-নারদ সর্বস্তরে, তীব্র অশান্তিতে ক্রমশ কি ভিত নড়বড়ে?

রাজ্য বিজেপির ঘরে নারদ-নারদ সর্বস্তরে, তীব্র অশান্তিতে ক্রমশ কি ভিত নড়বড়ে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই গেরুয়া শিবিরে অশান্তির আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। আর যত দিন যাচ্ছে ততই অশান্তির আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করছে ক্রমশ গেরুয়া শিবিরকে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দলের ভাঙন তো এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়। পাশাপাশি বিজেপির বেশকিছু নেতা বেসুরো হয়ে উঠেছেন, যা নিয়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে আসছে। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির একাধিক নেতা প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

একদিকে যখন সৌমিত্র খাঁ ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব এবং বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে, ঠিক সেরকমই আবার রাজ্য সভাপতি নাম না করে দলের বেশ কিছু নেতাদের নিত্য কটাক্ষ করে চলেছেন। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরে যে এখন ব্যাপক শৃঙ্খলার অভাব তা বুঝতে বাকি নেই কারোর। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণের পরেই সৌমিত্র খাঁ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্রমাগত ভুল বুঝিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তিনি সরব হয়েছেন, নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন তা নিয়ে।

এবং তা শুভেন্দুর পরামর্শ অনুযায়ী হয়েছে বলে নিশ্চিত মত দেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি। অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁ এর পর এবার বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভ করে রীতিমতো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁর অভিযোগ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করছেন দলে। একই সাথে দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের ফোন না ধরার জন্য উঁচুতলার নেতাদেরও তিনি একহাত নেন। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে ভোটের পর থেকে দলের পক্ষে অস্বস্তিজনক মন্তব্য করে আসছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই নিয়েও মুখ খুলেছেন যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে থেকেও এ ধরনের কথা বলার শাস্তিস্বরূপ তাঁকে কোনো শোকজ করা হয়না কেন? অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণে বাদ পড়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের অন্য 4 সাংসদ জায়গা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়। আর তাই নিয়েই বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা প্রকাশ্যেই অসন্তোষ দেখাতে শুরু করেছেন। বাবুল সুপ্রিয় তো ইতিমধ্যেই ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করেন অন্যান্য নেতাদের। তাঁর মতে রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা আছেই। কেউ এগিয়ে যাবে কিংবা কেউ পিছিয়ে যাবে।

কোন সমস্যা তৈরি হলে পার্টিতে কথা বলার সুযোগ আছে। কিন্তু অনেকেই এমন নেতা রয়েছেন দলে যারা সেই সিস্টেমটা বুঝে উঠতে পারছেননা। পাশাপাশি কে কোথায় যাবেন তা নিয়েও পড়েছেন ধন্দে। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের বর্তমান অবস্থা বেশ নড়বড়ে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সামনে আবার লড়াইয়ের ময়দান প্রস্তুত হচ্ছে উপনির্বাচনের হাত ধরে। এই অবস্থায় যদি গেরুয়া শিবিরের এইরকম নড়বড়ে অবস্থা হয়, তাহলে কার্যত বাংলা থেকে বিজেপির অস্তিত্ব ক্রমশ বিলুপ্ত হবে বলেই নিশ্চিত রাজনীতির কারবারিরা। আপাতত রাজ্যের এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!