এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য বিজেপির সংগঠনকে নতুন করে পোক্ত করতে নয়া নিদান কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের

রাজ্য বিজেপির সংগঠনকে নতুন করে পোক্ত করতে নয়া নিদান কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি হারের পর থেকেই একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ভাঙনের ছবি। বিজেপির অন্দরের কলহ ক্রমশ যে দলের সংগঠনকে দুর্বল করছে সে কথা এবার মেনে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির ভাঙন রুখতে নয়া নিদান কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের। প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরে যেমন নিচুতলার প্রায় প্রতিদিনই দলবদল হয়ে চলেছে, সেরকম উপরমহল থেকে মুকুল রায়ের মতন হেভিওয়েট তৃণমূল বিজেপি নেতা দল ভেঙে তৃণমূলে চলে আসায় শুরু হয়েছে বিপত্তি। প্রায় প্রতিদিনই কেউ-না-কেউ বিজেপিতে বেসুরো হতে শুরু করেছে।

পাশাপাশি অনেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সংগঠন ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের আদি এবং নব্য নেতাদের দূরত্ব মেটানোর। প্রত্যককে একসাথে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের তরফ থেকে।

পাশাপাশি কেউ যাতে দল ছেড়ে না যায়, সেদিকে যেমন নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেরকমই আদি এবং নব্য নেতাদের মধ্যে কি কারণে মান-অভিমান তৈরি হয়েছে, তাঁদের সাথে কথা বলে তা মিটিয়ে তাঁদেরকে আবার দলে সক্রিয় করে তোলার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের তরফ থেকে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে নতুন করে তৈরির দিকে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত এদিন জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যর মতন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। রাজ্যের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়, রাজ্য বন্দোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং সহ আরও বেশ কিছু নেতা। একই সাথে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে সবার প্রথম মেটাতে হবে। কোথায় কি ফাঁক রয়েছে তা পর্যালোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় নেতারা এই মুহূর্তে বুঝতে পেরেছেন রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের মূল সমস্যা। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ যে অন্যতম কারণ দলের ভাঙ্গন ধরার ক্ষেত্রে তা স্পষ্ট। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত সামলানো না যায়, তাহলে অচিরেই বঙ্গ বিজেপি যে আরও বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশকে কিভাবে ফলপ্রসূ করে বঙ্গ বিজেপি কিংবা কিভাবে দলের মান-অভিমান মেটায়, সেদিকে থাকবে নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!