এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাজ্য কমিটি তৈরি করেও সামাল দেওয়া গেল না, বিক্ষুব্ধদের তালিকায় বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট

রাজ্য কমিটি তৈরি করেও সামাল দেওয়া গেল না, বিক্ষুব্ধদের তালিকায় বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যায়, গেরুয়া শিবিরে বড়োসড়ো ভাঙন। একের পর এক নেতারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন। ছবিটা কিন্তু এরকম ছিল না বিধানসভা নির্বাচনের আগে। তখন কিন্তু তৃণমূল থেকে একাধিক নেতা মন্ত্রী বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন রাতারাতি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিশাল ভোটে জয়লাভের পর থেকে বদল আসে গেরুয়া শিবিরে। বিধানসভা নির্বাচনের পর উপ নির্বাচন এবং সদ্য শেষ হওয়া কলকাতা পুরসভা নির্বাচন- একের পর এক হারের বোঝা চেপেছে গেরুয়া শিবিরের ওপর। আর সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সদ্যই গেরুয়া শিবিরে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে।

কিন্তু নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলনা। প্রসঙ্গত একাধিক বিজেপি বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনা সামনে এসেছে বড়দিনে। আর তাতেই রাজ্য রাজনীতিতে আরও একবার শোরগোল শুরু। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হবার পর শুরু অশান্তি। দেখা যাচ্ছে, নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার মতন কেউ নেই। আর তাই নিয়েই বিজেপি বিধায়কদের একটি অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেছেন বিধায়ক অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনীয়া।

প্রসঙ্গত, যারা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। কিন্তু তাতে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের অশান্তি কিন্তু থামছেনা। অন্যদিকে টুইট করে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, আসলে বিজেপির কারণেই একের পর এক উইকেট পড়ছে বিজেপির। বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এই ঘটনার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, অশোক কীর্তনীয়া এবং সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিষদীয় স্তরেও এ নিয়ে কথা হবে বলে জানিয়েছেন মনোজবাবু। কার্যত তিনি দাবি করেছেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিধায়করা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত, 2019 এবং 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু এই মতুয়ারাই বিজেপির মান বাঁচিয়েছে বহুলাংশে। কিন্তু তার পরেও রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের কোনো প্রতিনিধি না থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। কার্যত শোনা যাচ্ছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

কিন্তু তাতে পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে মতুয়াদের ওপর নির্ভর করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বেশ কয়েকটি আসন দখল করতে পেরেছে, সেই  মতুয়ারা যদি চটে যায়, তাহলে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের বিপর্যয় অনিবার্য। এদিকে সামনেই রাজ্যের পুরভোট তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া শিবির কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে দিকেই থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!