রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন, সংক্রমণকে কতটা আটকাতে পারবে তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন বিশেষ খবর রাজ্য May 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছে। আতঙ্ক সীমাহীন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। বাজার খোলার নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর তাই আজ সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে ভিন্ন ছবি। কলকাতা থেকে শহরতলী সর্বত্র দোকান বাজারের একই ছবি। সকালবেলা দোকান বাজার খুললেও কোথাও সেরকম ভিড় দেখা যায়নি। কলকাতা শহরের বড় সবজি বাজার মানিকতলা বাজার, গড়িয়াহাট বাজার কার্যত এদিন ফাঁকাই ছিল বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। নবান্নে গতকাল একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয় করোনা সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনার জন্য। সেই বৈঠক শেষ হলে নবান্নের তরফ থেকে আংশিক লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরপর সমস্ত এলাকায় মাইকিং করে নির্দেশিকা প্রচারিত হয়। আংশিক লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী সকাল 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা থাকবে। এরপর আবার দুপুর তিনটের সময় দোকান, বাজার খুলবে। খোলা থাকবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ রয়েছে মুদির দোকান এবং ওষুধের দোকান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দোকান বাজার আংশিক সময়ের জন্য খুললেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত শপিংমল, সিনেমাহল, বিউটি পার্লার, স্পা, সুইমিংপুল, জিম। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অবশ্য এখনও বাতিল করা হয়নি। প্রত্যেকে নিজেদের স্কুলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো জারি করা হয়নি। কিন্তু রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আংশিক সময়ের জন্য দোকান, বাজার বন্ধ নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভিড় এড়ানোর জন্যই এই নির্দেশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও আগের মতন সব কিছু খুলে দেওয়া হবে। আপাতত দেখার, সরকারি নির্দেশে সংক্রমণ কমানোর যে উদ্দেশ্য, তা মেনে করোনাকে কতটা আটকানো যায়! আপনার মতামত জানান -