এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাড়ছে অশান্তি, আশংকায় রাজ্যবাসী

রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাড়ছে অশান্তি, আশংকায় রাজ্যবাসী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে হিংসা এবং অশান্তি বন্ধ করার জন্য। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে হিংসা এবং অশান্তি তো বন্ধ হয়ইনি বরং উপর্যুপরি তা বেড়ে চলেছে। শনিবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা। কিন্তু এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রীর হোর্ডিং, পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে একচোট অশান্তি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কেশপুরে শোনা যাচ্ছে, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে।

এছাড়াও গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা প্রচারে বেরোতে পারছেন না কারণ শাসক দলের কর্মীরা তাঁদের বাধা দিচ্ছে। যথারীতি এই নিয়ে তীব্র আকারে বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, আজকে খড়্গপুরের ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্বাচনী জনসভার আগে অশান্তি বেড়ে উঠলো। প্রধানমন্ত্রীর সভা শুরুর আগে এদিন সকালে দেখা গিয়েছে, তাঁর সভামঞ্চের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া পোষ্টার ফালা ফালা করে ছেঁড়া। খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরেক দফা অশান্তি শোনা যায়।

বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সভায় আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে মঞ্চ থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি দরকারে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে চলে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত শোনা যাচ্ছে, খড়্গপুর স্টেশন থেকে জনসভায় আসার পথ প্রতম থেকেই নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রয়েছে। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, খোলা মঞ্চ থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ হিংসা এবং উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয়েছে জেলার আরেক প্রান্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। শোনা যাচ্ছে, সেখানে বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসক দল এই হামলার মূলে। একইসাথে অশান্তির খবর এসেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার জগদ্দল থেকে। জগদ্দল এলাকার বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যের দেওয়াল লিখনের সময় তৃণমূলের বাহিনী হানা দিয়ে তা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুইপক্ষের সংঘর্ষে দু’জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় উপস্থিত হন বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির প্রচারে বাধা দিতে শাসক দল তৃণমূল এই কাণ্ড করেছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পুরো ঘটনাটির পেছনে কাজ করছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকায় অরিন্দম ভট্টাচার্যের নাম ওঠার সাথে সাথে গেরুয়া শিবিরের প্রবল অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিলো। পার্টি অফিস ভাঙচুর,আগুন লাগানো সহ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপিরা। সব মিলিয়ে অশান্তির পেছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না তৃণমূলের হাত এই নিয়ে চলছে ব্যাপক চাপানউতোর। প্রথম দফার ভোট রাজ্যের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। এই সময় রাজ্যের এবারের ভোটের মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর যেভাবে নিত্যদিন বেড়ে চলেছে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে, তা কিন্তু ক্রমাগত আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এই পরিস্থিতি সামলাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!