এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই! উপনির্বাচনও কেন্দ্রীয়বাহিনীর কড়া পাহারায়!

রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই! উপনির্বাচনও কেন্দ্রীয়বাহিনীর কড়া পাহারায়!


আগামী 25 শে নভেম্বর খড়গপুর, করিমগঞ্জ ও করিমপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। লোকসভা ভোটে তৃণমূল বিজেপির কাছে কোণঠাসা হবার পর এবার তাঁদের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ তাঁরা কতটা কাজে লাগায় তা এই উপনির্বাচনে বোঝা যাবে।

অন্যদিকে, এই উপনির্বাচন থেকেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে লোকসভা ভোটে বিজেপির ভালো ফলাফলকে মাথায় রেখে প্রথম থেকেই তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তবে উপনির্বাচনেও বিরোধীরা এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে। আর সেই দাবি মাথায় রেখেই কেন্দ্রের তরফ থেকে উপ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা না-রেখে এবার উপনির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলবে। আগামী 25 শে নভেম্বর রাজ্যের উপনির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের দাবি অনুযায়ী রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন হয়েছে। ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর জন্য 25 নভেম্বরের আগে থেকেই এলাকায় রুটমার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার জন্য কমিশন 10 কোম্পানি আধা সেনা পাঠাচ্ছে। তবে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এর আগের উপনির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে রাজ্যে ভোট করিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। এর আগে লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোয় রাজ্য সরকার তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। গত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হানাহানির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। আর তারপর থেকেই লোকসভা নির্বাচনের সময় 100% কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

লোকসভা নির্বাচনেও যেভাবে 100% বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, এবারেও প্রয়োজন পড়লে সেরকম হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘উপনির্বাচনে এর আগেও বাহিনী এসেছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে এই রাজ্যকে। সেক্ষেত্রে 100% বাহিনী দিয়ে উপনির্বাচন করানো হতে পারে।’

কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ এই বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে আপাতত নির্বাচনী প্রচারে মনোনিবেশ করেছে রাজ্যের প্রত্যেকটি দল। লোকসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে ভালো ফল করার কারণেই উপ-নির্বাচনে যে তাঁরা সমগ্র শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, লোকসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল পিছিয়ে থাকবে না সে কথা অনস্বীকার্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ফলে এ রাজ্যে উপ-নির্বাচনে এবার প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে দুই মুখ্য দলের মধ্যে। যেভাবেই হোক না কেন, ভোট হবে। আর সেই ভোটে রাজনৈতিক দলগুলি কি ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে সেদিকে নজর থাকবে পরিদর্শক মন্ডলীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!